Thursday, January 31, 2019

ভুয়া সিভিল-পুলিশ এর ফাঁদ: এমন আকস্মিক বিপদে সাহস হারাবেন না, ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করুন।


একটি ঘটনা যা আপনাকে শেখাবে কীভাবে এমন আকস্মিক বিপদে মাথা ঠাণ্ডা রেখে বুদ্ধি করে বিপদ থেকে বাঁচতে হয়! সেই সঙ্গে পূর্বে থেকে কী কী ব্যাকআপ রাখতে হয়।

২৪ ঘন্টা লাগলো এই পোস্টটা লেখার মতো শক্তি সঞ্চয় করতে! প্রতিটা মেয়ে এবং মা-বোন-বউ আছে এমন ছেলেরাও পড়বেন প্লীজ! কখন কার জীবন বেঁচে যায় আমার এই স্ট্যাটাসটা দেখার সুবাদে বলা যায় না! শুধুমাত্র অস্বাভাবিক রকম শক্ত মনোবলের অধিকারি করে ছোটবেলা থেকে বড় করার কারনেই সম্ভবত আজকে আমি বেঁচে আছি এবং এই কথাগুলো লিখতে পারছি! আচ্ছা, বাকি কথা পরে- আগে ঘটনা বলি-

গতকাল রাত ৯টা, সিটি কলেজের পরের গলি, সম্ভবত ধানমন্ডি ৩/এ, যেখানে ভি.আই.পি বাসস্ট্যান্ড, ওই গলির মুখ থেকে রিক্সা নিলাম জিগাতলা যাবো বলে, যায়গাটা অনেকটা ফাঁকাই ছিলো! তো যাই হোক, রিক্সা চলা শুরু করতেই একজন মধ্যবয়সী লোক এসে রিক্সা আটকে নিজেকে সিভিল পুলিশ বলে পরিচয় দিয়ে আইডি দেখালো আর রিক্সাওয়ালাকে থামতে আদেশ দিলো, রিক্সাওয়ালা তার কথামতোই কাজ করছিলো, যেহেতু সে পুলিশ বলে বেশ হম্ভিতম্ভি করছিলো! তারপর আমাকে সে বলা শুরু করলো, ব্যাগ চেক করবে, আমি এই করেছি সেই করেছি নানা কথা! যখনি দেখলাম তার অসংলগ্ন কম্পলেইন আমার নামে আমি বললাম ঠিক আছে, গাড়ি আনেন পুলিশের, বাকি কথা থানায় গিয়ে হবে, আমিও আমার গার্ডিয়ান কল দেই, সে ওই অবস্থায় প্রায় জোর করেই রিক্সায় উঠে গেলো এবং আমি বুঝতেসিলাম যে এইটা ছিনতাই বা কিডন্যাপ চক্র! সে উঠে রিক্সাকে বললো চালাও। রিক্সা চলতে শুরু করলো, সে এত আজেবাজে কথা বলতেছিলো, যে রাস্তার এক দুইজন পথচারী খেয়াল করলেও সে ইজিলিই তাদেরকে বিলিভ করায় ফেলবে যে সে সিভিল পুলিশ এবং আমি খারাপ মেয়ে! আমি জাস্ট আশপাশ দেখতেছিলাম আর ভাবতেছিলাম আমি কিভাবে জান নিয়ে বাসায় যাবো, কিভাবে আমাকে অজ্ঞান করার আগেই আমি পালাতে পারবো, এক পর্যায়ে আমি ভাবলাম হট-টকে যাবো না, যদি আমি তর্ক করি, হয়তো সে এটাক করে বসতে পারে, অথবা অজ্ঞানের চেষ্টা করতে পারে, আমি জাস্ট তার কথা শুনতেছিলাম এবং একটু লোকজন আসে এমন যায়গার অপেক্ষা করতেছিলাম! কথার ফাঁকে আমি বললাম আমি আমার আংকেলকে কল দিচ্ছি আপনি কথা বলেন, উনি একজন এডিশনাল এস.পি। সে তখন রীতিমত চেঁচিয়ে উঠলো এবং খুব উল্টাপাল্টা আচরন করতে লাগলো- মনে হচ্ছিলো কিছু একটা করে বসবে! আমাকে বারবার বলা শুরু করলো তার বাসায় যেতে নাহয় আমাকে নেক্সট আর খুঁজেও পাবেনা কেউ, এক সময় এটাও বললো, আমার গায়ে হাত দেয়া পারমিট করলে সে তখনি নেমে যাবে! আমি শুধু ভাবতেছিলাম আমি তনুর মতো হারিয়ে যাবো না,যেতে পারিনা! আমাকে আমার মায়ের কাছে ফিরতেই হবে! আমি তাকে শান্তভাবে কথা বলতে লাগলাম, এমন ভাব ধরলাম যে আমি অসহায় মেয়ে এবং ভয় পেয়ে কনভেন্সড হয়ে গেসি তার কথা মানতে, এই অবস্থায় দেখলাম রিক্সা স্টার হোটেলের মোড়ের কাছাকাছি এবং আমি ইয়েলোর বিরাট আউটলেট দেখতে পাচ্ছি! সামনে ৪-৫টা প্রাইভেট কার দেখলাম, আমি জাস্ট এক সেকেন্ডও আর কিচ্ছু না ভেবে শরীরের সমস্ত শক্তি এক যায়গা করে চলন্ত রিক্সা থেকে প্রায় ২-৩ হাত সামনে লাফ দিলাম এবং একটাবারের জন্য আর পিছনে না তাকিয়ে এক দৌড়েই রাস্তা পার হলাম! একটা বাইক আমার সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে গেলো, লোকটাকে স্যারিও বলতে পারলাম না!

রাস্তা পার হয়ে কিছুদুর দৌড়ে দেখলাম রাইফেলস এর সামনে একটা সিএনজি মাত্রই খালি হচ্ছে, রীতিমত প্যাসেঞ্জারকে ধাক্কায় আনি ভিতরে ঢুকে দরজা আটকায় বললাম মামা সামনের গলিতে ঢুকেন, ছিনতাইকারী পিছনে! আল্লাহ্‌ সহায় ছিলো লোকটা টান মারলো গাড়িটা! বাসায় ঢুকলাম ১০মিনিটের মাঝেই, স্থির হতে হতে প্রায় দুই ঘন্টা লাগলো, দুই ঘন্টা পর অনিককে বললাম ঘটনা!

অনেক ভয়াবহ একটা এক্সপেরিয়েন্স আমি জাস্ট অল্প কয়টা কথায় লিখলাম, এভাবে পড়ে কেউ হয়তো অনুমানও করতে পারবেন না আমার উপর দিয়ে ওই সময়টুকুতে কি যাচ্ছিলো! হয়তো বলবেন, আমার উচিত ছিলো নেমে তাকে ধরার ব্যবস্থা করা, লোক জড়ো করে বলা! কিন্তু সত্যি বলতে এই আমি, যে কিনা ইভটিজার পিটানোতে ফ্রেন্ডদের মাঝে বলতে গেলে সেই লেভেলের জনপ্রিয়- সেই আমিই ওই মোমেন্টে ওই ব্যাটাকে কিভাবে শায়েস্তা করবো এটা একটাবারের জন্যও ভাবতে পারতেছিলাম না, আমার ওয়ান এ্যান্ড অনলি চিন্তা ছিলো, আমি বাসায় যাবো, আমাকে আমার বাবা-মা'র কাছে ফিরতেই হবে, আমি আরেকজন তনু হতে পারিনা, পারবোনা,আমাকে বাঁচতেই হবে!

হ্যা, কালকে আমি পালিয়েই বাঁচছি, ওই ব্যাটাকে ধরায় দেয়ার মতো কিছু করতে পারিনাই, আমার কাছে তখন নিজের ইজ্জত আর জান বাঁচানোটাই ফরয হয়ে গেসিলো! নাহয় হয়তো আজকে আমিও জাতীয় দৈনিকের হেডলাইন থাকতাম, সারাদেশ আমাকে নিয়েও আন্দোলন করতো এবং হায় হায় শব্দে আকাশ বাতাস ভারী করতো। আর দুইদিন পর সবাই এই তারিনকে ভুলে যেত, শুধুমাত্র যে পরিবারটা ধ্বংস হয়ে যেতো সেটা হতো আমার পরিবার!
আমার মা, বাবা, ভাই, হাসবেন্ড, কাছের আত্নীয়রা- শুধুই আমার সবাই! পারিনি লোকটাকে কিছু করতে, কিন্তু পেরেছি কিডন্যাপড/রেপড/মার্ডারড না হয়ে আল্লাহ্‌র দেয়া এই জীবনটা নিয়ে বেঁচে ফেরত আসতে! আল্লাহ্‌র শোকর আদায় করে শেষ করা সম্ভব না! দোয়া চাই সবার, যেন এই দ্বিতীয় জীবন ভালো ভাবে শুরু করতে পারি!

বিঃদ্রঃ আমি ডিএসডি গ্রুপে একটা পোস্ট দেখেছিলাম কয়েকমাস আগে, হুবহু এমনই ঘটনা, জাস্ট মেয়েটা রিক্সা থেকে পালাতে পারেনি বলে সিভিল-পুলিশ পরিচয় দেয়া লোকটার খপ্পরে পরে ফিজিক্যাল হ্যারাসমেন্ট এবং ছিনতাই- দুটোরই স্বীকার সে হয়েছিলো! আজকে তাই ভাবলাম যদি আমার এই পোস্ট দেখে একটা মেয়েও এই ব্যাপারে সচেতন হতে পারে বা বিপদে পরলে ঠান্ডা মাথায় মোকাবেলার চিন্তা করতে পারে, যদি একজনেরও উপকার হয়- তাতেই হয়তো বেঁচে যাবে আমার পরিবারের মতো আরো একটি পরিবার!
সবাই কপি-পেস্ট/ শেয়ার করে কাইন্ডলি ব্যাপারটা আরো জানানোর চেষ্টা করবেন পরিচিতজনদের মাঝে!
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

মেয়েদের জন্য সচেতনতামূলক পরামর্শ!


চলাফেরা করতে গিয়ে নিজের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রত্যেক মেয়ের নিম্নের পরামর্শসমূহ মেনে চলা দরকার:

১. রাতের বেলা বাসায় ফেরার সময় কোন মাইক্রো বাস/ প্রাইভেট কারে লিফট দিতে চাইলে উঠবেন না।
২. রাতের বেলা ফাঁকা বাসে উঠবেন না।
৩. বাসে উঠে ঘুমিয়ে পড়বেন না এবং অন্যের দেয়া খাবার খাবেন না ।
৪. খালি বাসায় টিউশনি করাবেন না।
৫. কোচিং সেন্টারে বান্ধবিদের সাথে যাবেন। একা একা অতিরিক্ত সময় আগে চলে যাবেন না এবং ক্লাস হবে কিনা আগেই নিশ্চিত হয়ে নিবেন। কারন ফাঁকা নির্জন ক্লাস রুমে অনেক মেয়েই শিক্ষকের আক্রমনের স্বীকার হয়।
৬. পরিচিত কারো দ্বারা যৌন হয়রানির আঁচ পেলে পরিবারের সদস্যদের অবহিত করবেন ।
৭. ফেসবুক/ মোবাইলে অপরিচিত কারো সাথে দেখা করতে চাইলে ভুলেও দেখা করবেন না।
৮. সন্ধ্যার পর পর্যন্ত নির্জন লেক/ পার্কগুলোতে অবস্থান করবেন না। আধার নামার আগেই সেসব স্থান ত্যাগ করবেন।
৯. নির্জন পার্ক, জংগল বন বা পিকনিক প্লেসের গভীর এলাকায় যাবেন না।
১০. কিছু করার আগে, কোথাও যাবার আগে নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 30, 2019

মেয়েরা রিকশায় চলাচলে সতর্ক হোন!


একটা ঘটনা যা আপনাকে আরো বেশি সতর্ক করে তুলবে।

প্রথম ছবিটা আমার এক্সিডেন্ট হওয়ার ঠিক ২মিনিট আগে। মানে আমি যদি ৩০শে ডিসেম্বর মারা যেতাম তাহলে সবাই বলতো সেলফি তুলতে যেয়েই অসাবধানতার ফলে রিকশার চাকায় ওড়না পেঁচায়ে মারা গেছে। দোষটা আমার ঘাড়েই আসতো। ঘটনাটা কেরানীগঞ্জ আমার নানু বাড়ির কাছেই ঘটছে।
আমার পাশে আম্মুর বান্ধবি (লাভলি খালামনি) আর তার মেয়ে বসা। ঘটনাটা ঘটার ১মিনিট আগেও আমার ওড়না চেক করলাম, ঠিকঠাক মতোই ছিলো।
ব্যাগে মাত্র মোবাইলটা রাখলাম অমনেই ওড়নায় হালকা টান লাগলো। ঢাকায় একবার ওড়না চাকায় পেঁচায়ে গেছিলো, তখন হালকা ব্যাথা পাইছিলাম।
তাই এবার যখন হালকা টান লাগলো তখন অমনেই আমি গলার ওড়নাটা ধরে (যেনো গলায় ব্যাথা না পাই) বললাম মামা থামান।
তারপর যে কি হইছে সেটা আমার আর কিছু মনে নাই। সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে যাই।
অটোরিকশা যে এত খারাপ আগে বুঝিনাই। থামান বলার সাথে সাথেই এরা যে কত দূর চলে যায় স্পিডে এরাই যানে।

যখন জ্ঞান আসলো মনে হইলো কোন এক জগত থেকে যেনো আমার আত্মাটা ঘুরে আসলো। মাথাটা সাথে সাথেই কেমন যেনো ঘুরালো। কানে শুধু এটাই শুনতেছি আম্মু চিৎকার করে কানতেছে আর বলতেসে ''আল্লাহ আমার পিঙ্কি আর নাই। আল্লাহ! আমার পিঙ্কি! আমার পিঙ্কি নাই''
চোখ খুলে দেখি আমার মা মাটিতে লুটায়ে পড়ে আমাকে ধরে পাগলের মতো চিৎকার করে কানতেছে। আমার কাছে সব কিছু কেমন যেনো আশ্চর্য মনে হইতেছিল। ভাবতেছিলাম আম্মু মাটিতে কেন বসা? আমাকে ধরেই কেন কানতেছে?
তখন আমি নিজেকেও নিজে ফিল করতে পারতেছিলাম না। আম্মু কে শুধু এটাই বললাম ''আম্মু আমি কি মরে গেছিলাম? আমি কি বেঁচে আছি?'' এই কথাটা যে আমি কেন বলছিলাম নিজেও জানিনা। মনে হইছিলো আমি অন্য কোনো দুনিয়া থেকে ফেরত আসছি।

কে যেনো আমাকে ধরে উঠালো। তাকায়ে দেখি চারপাশে মানুষ আমাকে ভীর লাগায়ে দেখতেছে। আম্মু আর লাভলি খালামনি শিউর হয়ে গেছে আমি মারা গেছি। আমিতো আর ফাঁসির লাশ দেখিনাই কিন্তু শুনছি অনেক ফাঁসি দিলে জিহবা বের হয়ে যায়। গরু খাশি জবাই দেবার পর যেমন জিহবা বের হয়ে বাকা হয়ে কামর লেগে যায় আমারও তাই হইছে। আর আম্মুর আর্তনাদ পানি দেন, কেউ একটু পানি দেন। আমার মেয়ের গলা! আম্মু শুধু চিৎকার করতেছিল আমার মেয়ের গলা!
ওড়নাটা এমনভাবে চাকার সাথে পেচায়েছিল যে আমি একদম গোল হয়ে রিকশার যেখানে পা রাখে সেখানে মাথা চলে গেছিলো। কোনোভাবেই ওড়না ছাড়াতে পারতেছিল না। ওড়না গলার মধ্যে ডেবে গেছিলো। লাভলি খালামনি বুদ্ধি করে রিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়াতে হালকা হইছিল ওড়নাটা নাহলে তখনতো দম বন্ধ হয়েই ছিলো কিন্তু জীবনের শেষ নিঃশ্বাসটাও ঐখানেও যেতো। আমি তখনো কোনো ব্যাথা অনুভব করতে পারতেছিলাম না। শুধু মনে হইতেছিলো জিহবা কেটে দুইভাগ হয়ে গেছে।
গলা থেকে ওড়নাটা সরানোটাও ডিফিকাল্ট হয়ে গেছিলো কারন ওড়নাটা এমন ভাবে ফাস লাগছে গলা একদম চিকন হয়ে গেছিলো। তখন মনে হয় আল্লাহই সাথে সাথে একটা সিএনজি পাঠায়ে দিছিলো। সিএনজিতে উঠার পর শুরু হইলো আমার যন্ত্রণা। সেই মৃত্যু যন্ত্রনার বর্ণনা দেয়ার ভাষা আমার জানা নাই। কালেমা আর তউবা পরতেছিলাম অনবরত। কারণ ঐ মুহূর্তে আমি জানি কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি আর এই দুনিয়াতে থাকব না। আম্মু কে বলতেসিলাম আমাকে নানু মামা আর আপুর পাশেই কবর দিও। আমাকে মাফ করে দিও। আমি মরে গেলে আমার দেনমহরের টাকাটা রায়হান কে ফেরত দিয়ে দিও।
আমার মা যে কি পরিমান পাগল হয়ে গেছিলো সেটা কাওকে বলে বোঝানো যাবেনা। মা কি জিনিস সেটা সেইদিনই বুঝতে পারছি। একটা ছোট্ট শিশু বাচ্চাকে মা যেভাবে বুকে আগলায়ে রাখে আজকে ৬দিন ধরে আমার মা তাই করতেছে। হাসপাতালে নেয়ার পর অক্সিজেন ইনজেকশন সাপোসিটার ওষুধ খাওয়ানোর ২ ঘন্টার পর মনে হইছে আমি হয়তো বেঁচে যাবো কিন্তু সারাজীবন এই কষ্ট নিয়েই বাঁচতে চাই। ২ঘন্টা আগের সেই কষ্টের চেয়ে এখনকার কষ্ট হাজার কোটি গুনে ভাল। হাত পা সারা শরীর ব্যাথা। জিহবাটা দাতের কামরে ছিদ্র হয়ে গেছে।

এখনকার কষ্টগুলো কেমন জানেন? সারাক্ষণ মনে হয় গলায় কেউ ব্লেড দিয়ে পোঁচ দিতেছে। মাঝে মাঝে মনে হয় কেউ লবন লাগায়ে দিতেছে। সারা রাত ছটফট করতে থাকি। শুতে গেলেও মনে হয় গলার ঘাড়ের রগ দা দিয়ে কাটতেছে। বসতে গেলেও টান লাগে। আম্মুর হেল্প ছাড়া উঠতেও পারিনা বসতেও পারিনা। ২৪টা ঘন্টা আম্মুকে জ্বালাতে থাকি। বাথরুমে গেলেও আম্মু নিয়ে যায়। ভাত খাওয়া পানি খাওয়া চুল বাধা, খাটে শুয়েই শ্যাম্পু করে দেয়া কি না করতেছে আমার মা।
আমার এই ব্যাথা যন্ত্রণা আমি যতটুকু না ফিল করতে পারতেছি তার চেয়ে কোটি গুন বেশি ফিল করতেছে আমার মা।
আল্লাহ আমার সব নেক হায়াত আমার মা কে দেক। সবাই আমার আম্মুর জন্য দোয়া কইরো। আমি এখন আগের তুলনাই আলহামদুলিল্লাহ্‌ অনেক ভালো আছি।
সবাইকে বলছি ওড়নটা সাবধানে রেখে চলাচল করবেন। ভালো থাকবেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

বাসায় ছিনতাই এর নতুন কৌশল! সচেতন হোন

নিরাপত্তা


ডিসের লাইন ঠিক করতে আসা কি এখন নতুন চক্রান্ত?
আমাদের বাসায় এই নিয়ে পর পর ৩ দিন দিন ডিসের লাইন ঠিক করবে বলে একজন এসেছে।
প্রথম দিন আমি বাসায় ছিলাম, কলিং বেল বাজলে আমি দেখতে যাই কে এসেছে. দরজা না খুলেই জিজ্ঞেস করি,"কে?"
উত্তরে বলে যে ডিসের লোক।
আমি ভাবলাম বোধহয় বিল নিতে আসছে। আমি আম্মুর কাছে গিয়ে বিল চাইতেই আম্মু বলে, "মাসের শুরুতেই বিল দিয়ে দিছি, কি জন্য আসছে এখন?"
আমি আবার দরজা না খুলেই বললাম, "কি দরকার? বিল তো অনেক আগেই দিয়ে দিয়া হইছে।"
বলে, "লাইন সারাইতে আসছি, লাইন ঠিক আছে?"
আমি টিভি অন করে দেখলাম লাইন ঠিকই আছে এবং তা জানালাম। আর আমি অপর পাশ থেকে লুকিং গ্লাশ দিয়ে দেখছিলাম যে লোকটা আর কোন বাসায় যায় কি না। দেখলাম যে সে আর কোন বাসায় গেল না। সোজা নিচে চলে গেল।
এর পর আরো একদিন এসেছে, আম্মুর কাছে শুনলাম। আমি বাসায় ছিলাম না সে দিন।
ইভেন আজ কিছুক্ষণ আগে আবার আসছে। এখন আম্মু দরজা খুলতে গিয়ে জিজ্ঞেস করে কে। তখন আবার বলে, ডিসের লাইন ঠিক আছে? আম্মু সুন্দর মত বলছে, যে ঠিক আছে। কয়েকটা চেনেল ঝিরঝির।
আমি আম্মুকে বললাম, এইটা ডিসের লাইন ঠিক করার জন্য আসে নেই, আমি সিউর এর অন্য কোন মতলব আছে। আর এই একই টাইমে আসে। এরা জানে এই টাইমে কেউ বাসায় থাকে না।
আম্মু সাথে সাথেই নিচের সিকিউরিটি গার্ড কে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করে যে, এই ডিসের লোক কি বলে উঠেছে? তুমি উঠতে দিছো কেন?
গার্ড জানায়, সেই লোক তাকে বলছে যে আমরা নাকি ফোন দিয়েছি ডিসের লাইনের সমস্যা এই জন্যই গার্ড উপরে উঠতে দিছে। অথচ আমরা ফোন তো দূরের কথা ডিসের লাইনের নাম্বার ও জানি না।
আমি ৯০% সিউর এইটা কোন চক্রান্ত। বুঝা যাচ্ছে এরা সব খোজ নিয়েই আসে। যাদের বাসায় পুরুষ মানুষ নেই বা বিদেশে থাকে তাদের বাসায় যায়। 
আল্লহর রহমতে আমরা অপরিচিত কেউ আসলে দরজা খুলি না। কিন্তু কতক্ষণ?
(সংগৃহীত)

আর শুধু ডিসের লাইনের কথা বলে নয় পাইপলাইন, টেলিফোন লাইন ফ্রিতে পুরাতন জিনিস চেঞ্জ করে দিতে আসা কোম্পানির লোক ইত্যাদি নানাভাবে আজকাল বাসায় ছিনতাই করছে বিভিন্ন চক্র। তাই শিওর না হয়ে দরজা খুলবেন না।

ভালো থাকুন | School of Awareness

চোর' বলে চিৎকার দিয়ে মোবাইল ছিনতাই এর অভিনব ধরন: রক্ষা পেতে সতর্ক হোন!


পোস্ট টি পড়ুন। নিজে সাবধান হোন অন্যকে সচেতন করতে শেয়ার করুন অবশ্যই। কারন যেকোন সময় যে কেউ এমন ফাঁদে পরতে পারে !

"আজ বিকেল ৪টার দিকে আমি আর আমার কাজিন ফার্মগেটে দাঁড়িয়ে আছি ৬ নাম্বার বাস ধরে গুলশন ১ নাম্বারে যাব বলে।
বাস এলো পিছনের গেট দিয়ে উঠার সময় (আমি একাই উঠতেছিলাম আর কেউ ছিলনা) একজন প্রথম গেটের দিক থেকে দৌড়ে এসে আমার হাত ধরল আর চিৎকার করে বলতে লাগল চোর ধরেছি চোর, আমার মোবাইল চুরি করেছে।
এই বলে আমার প্যান্টের পকেটের দিকে হাত বাড়াল আমার মোবাইল নেবার জন্য, আমি ধরতে বাধা দিলাম। মুহূর্তেই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম কাহিনী কি? সাথেসাথে তার আরো দুইজন সঙ্গী আমার দুপাসে এসে দুহাত ধরল আর সে চিৎকার করে যাচ্ছে যে আমি চোর আমি তার মোবাইল চুরি করেছি।
তিনজনের অবস্থান দেখে বুঝে গেলাম ছিন্তাই গ্রুপের পাল্লায় পড়ে গেছি। জোরে জোরে বলতে লাগলাম আপনার কোন ব্র্যান্ডের মোবাইল চুরি হয়েছে বলুন আর আমার মোবাইলে হাত দিবেন না। সে তার মোবাইলের নাম বলতে পারছে না, পাবলিক ও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে কেউ আগালো না। আমি কন্টিনিউ তাকে জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছি তার কি মোবাইল? সে উত্তর দিতে পারে না।
পাশ থেকে আমার কাজিন এসে যখন আমাকে ছাড়াতে লাগল তখন এরা একটু নরম হতে লাগল। বুঝে গেল আমি একা নই তাই গায়ে হাত তোলার সাহস পায়নি। যদি হাত তোলা শুরু করত তাহলে এতক্ষন আমি হাসপাতালে থাকতাম। কারন পাবলিক এইসব ক্ষেত্রে কে চোর কে ভালো বিচার করে না, কাউকে চোর বলে মারতে দেখলে সেও চায় আমিও দুইটা মার দিয়ে আসি। এটাই বাংলাদেশ!
অনেক্ষন পর উত্তর এল তার মোবাইল সনি, তখন আমি আমার মোবাইল বের করে দেখাইলাম দেখেন এটা কি মোবাইল? (আমারটা xiomi) সে তখন সেখান থেকে পালাতে পারলে বাঁচে। একটু পরেই দেখি তারা আর সেখানে নেই সবাই কেটে পড়েছে।
এরা একটা গ্রুপ হয়ে কাজ করছে যখন কোন লোককে একা দেখে এবং সাথে দামী মোবাইল দেখে তখন তাদের টার্গেট করে একজন চোর চোর করে অভিনয় করে বাকি কয়জন হাত ধরে রাখে, কোনভাবে আপনার কাছ থেকে মোবাইল নিতে পারলেই বাকি কয়জন মারতে থাকবে পাবলিককে সাথে নিয়ে আর সে সেখান থেকে মোবাইল নিয়ে দ্রুত কেটে পড়বে। তাই সবাই সাবধান হউন এইসব নতুন ছিনতাইকারী থেকে।"
Reason Occurs - Mr. Md. Mamun
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

রিকশাচালক সেজে ছিনতাই: রক্ষা পেতে সচেতন হোন।


দয়াকরে সবাই পড়বেন এবং পরিবার ও আপনজনদের সাবধান করবেন।
ইদানীং এক শ্রেনীর রিক্সাচালক বের হয়েছে যারা ভাড়া নিয়ে বেশী দরদাম করবে না, অথবা দরদামের অভিনয় করে গন্তব্যস্থলে পৌছে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যাবে। তারপর যখন রিক্সায় উঠবেন তখন অথবা কিছুদুর যাওয়ার পর খেয়াল করলে দেখবেন তারা মোবাইলে কথা বলছে অথবা কন্টিনিউয়াস ইয়ারফোন ইউজ করছে। কথার তালে তালে তারা আপনার গন্তব্যস্থল, বর্তমান অবস্থান এবং কোন রাস্তা দিয়ে যাবে তার বর্ননা দিতে থাকবে তার সঙ্গীকে। কথা বার্তার ধরন এমন হবে, যে আপনি ধরতেই পারবেন না কি হচ্ছে। এছাড়াও রিক্সাচালকের কথা বার্তায় যাত্রী তেমন একটা কান দেয়ও না। কথার ধরন এমন হতে পারে যে “এইত অহন খিলগা তালতলা আছি, যামু মগবাজার ওয়ারলেস; তুই বাইর হ আমি খ্যাপ টা নামায় দিয়াই আইতাসি। না মৌচাক দিয়া যামু না রাস্তা খারাপ, ডাক্তার গল্লি দিয়া বাইর হমু।” ইত্যাদি। এরা আসলে ছিনতাইকারী চক্র। আর এদের প্রধান টার্গেড হল মহিলা ও কম বয়েসি ছেলে-মেয়েরা। যায়গা মত নিয়ে গিয়ে ঘটিয়ে ফেলতে পারে যেকোন ধরনের দুর্ঘটনা। নির্জন রাস্তা, চিপা গলি আর মানুষের আনাগোনা যে সময় কম থাকে সে সময় গুলো এদের টার্গেডে থাকে। আপনি যেদিক দিয়ে যেতে বলেন এরা যাবেনা, বিভিন্ন অজুহাত দেখাবে। মাঝে মাঝে এদের মধ্যে কেও কেও আপনাদের হুশিয়ারও করবে। যেমন “ আপা ব্যাগ টা ধইরা বহেন এহানে অনেক ছিনতাই অয়” ইত্যাদি। এরা চিপা গলিতে হেটে কিংবা মোটরসাইকেল ব্যাবহার করে থাকে ছিনতাই করতে। 
এই পদ্ধতি তে ছিনতাই করাযায় নিরাপদে ও সহজে সুযোগ বুঝে। তাই এরকম পরিস্থিতিতে বুঝে শুনে, তাদের না বুঝতে দিয়ে নেমে পরুন অথবা ছলে বলে দোকান থেকে কিছু কিনবেন বলে নেমে দোকানে ঢুকে পুলিশ ও নিকট আত্মীয় দের ফোন করুন।
এরকম ঘটনা সি.এন.জি তেও হতে পারে।
তাই সাবধানে থাকবেন।
ভালো থাক আপনজন, পথচলা হোক নিরাপদ ও আনন্দের।
(সংগৃহীত)

ভালো থামুন | School of Awareness

ব্ল্যাকমেইলের শিকার হলে কী করবেন?


ব্ল্যাকমেইল (Blackmail) কী তা আমরা সবাই জানি। সাদা বাংলায় বলতে গেলে, আপনার ব্যক্তিগত এমন কোন তথ্য বা চিত্র যদি কারো কাছে থাকে যেটি প্রকাশ পেলে আপনার সামাজিক মান মর্যাদার হানি হবে- এবং সেটি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে কেউ যদি আপনাকে ইচ্ছার বিরূদ্ধে কোন কাজ করাতে চায়-তাকেই বলে ব্ল্যাকমেইল।

আইনী বিষয়গুলো বলার আগে পুলিশি অভিজ্ঞতা থেকে কয়েকটা বিষয় শুরুতেই জানিয়ে দিই।
১) আমাদের সমাজে এমন কাউকে পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ যার বাইরের রূপের ভেতরেও আরেকটা রূপ নেই। এই রূপ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই খুব একটা গৌরবের নয়। আমরা মানুষ, আমাদের প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত জীবন আছে- এই ব্যক্তিগত জীবনে কখনো কখনো আমরা এমন অনেক কিছু করে ফেলি যেগুলো প্রচলিত সামাজিক রীতিবিরূদ্ধ এবং কোন কোন ক্ষেত্রে অন্যায়ের সামিল।
২) বয়স বা মতিভ্রমের কারণে নিজেদের করা এই কাজগুলো নিয়ে আমরা অনুতপ্ত হই এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভুলগুলো এড়িয়ে জীবনের যাত্রায় নতুন করে সামিল হই।
৩) সমস্যাটা তখনই হয়, যখন অতীতের করা এই ভুলগুলোর সুযোগ নিয়ে কোন নরাধম আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে তছনছ করে দিতে চায়। এটা কখনো কখনো ঘটে অর্থের লোভে, অথবা ঘটে নিতান্তই হিংসা চরিতার্থ করতে।
৪) আমাদের সমাজও হিপোক্রেসিতে পরিপূর্ণঃ অতীতের ভুলের সুযোগ নিয়ে ওই হতভাগ্যকে মাটির তলে পিষে ফেলতে আমরা সবাই মুখিয়ে থাকি। একটা বারের জন্যেও ভাবি না, এরকম ভুল আমি নিজে না করলেও আমারই পরিবারের কেউ করে ফেলতে পারে।
৫) এধরণের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে আত্মহত্যা আমাদের দেশে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। অতীতের তথাকথিত ভুলের প্রায়ঃশ্চিত্ত কি নির্মম ভাবেই না করে ওই হতভাগ্য!

এবার কাজের কথায় আসি। আপনি যদি এ ধরণের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হন, নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুনঃ
ক) শুরুতেই যে কথাটি মনে রাখবেন সেটি হচ্ছে- আপনি অপরাধী নন, ভিকটিম। ইটস নট ইয়োর ফল্ট। মাথা উঁচু রাখুন। আপনার অতীতকে আপনি পেছনে ফেলে এসেছেন, সেটাকে খুঁচিয়ে বের করে কোন কাপুরুষ বর্বর যদি ফায়দা লুটতে চায় সেটা আপনার দোষ না।
খ) দেশের প্রচলিত আইন সম্পূর্ণরূপে আপনার পক্ষে। ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৮৩ ধারা অনুযায়ী সাদা বাংলায় বললে, যে কোন ধরণের ব্ল্যাকমেইলকে এক্সটরশন বা চাঁদাবাজির আওতায় ফেলা যাবে, ৩৮৪ ধারা অনুযায়ী এর শাস্তি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড, সেটি জরিমানা সহ বা ব্যতীরেকে।
আর ইন্টারনেট/ফেসবুকের মাধ্যমে কেউ যদি আপনার ক্ষতি করতে চায় সেক্ষেত্রে নীচের আইনটি দেখুনঃ
ICT (Amendment) Act-2013
According to the Section 57 of the ordinance, if any person deliberately publishes any material in electronic form that causes to deteriorate law and order, prejudice the image of the State or person or causes to hurt religious belief the offender will be punished for maximum 14 years and minimum 7 years imprisonment. It also suggested that the crime is non-bailable.
জ্বি, ঠিক দেখেছেন। ফেসবুকে কেউ আপনার আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করলে সাহস করে মামলা করে দিন, প্রমাণ হলে বাছাধন ন্যুনতম ৭ বছর “রাষ্ট্রীয় অতিথিশালায়” ফ্রিতে থাকা খাওয়ার “সুবিধা” পাবে। এটা জামিনের অযোগ্য অপরাধ।
গ) যখন বুঝতে পারবেন আপনি ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন, ভয় না পেয়ে কাছের মানুষজনের সহায়তা নিন। প্রয়োজনে পরিবারকে জানান। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারকে জানাতে দ্বিধা করেন। জেনে রাখুন, আপনার চরম দুঃসময়ে আপনার পরিবারই আপনার সবচাইতে বড় ভরসা। তাঁরা হয়তো আপনার অতীতের ভুলের কারণে কষ্ট পাবেন, কিন্তু প্রাথমিক ধাক্কাটা কেটে গেলে আপনার সাহায্যে তাঁরা এগিয়ে আসবেন এটা মোটামুটি ১০০ ভাগ নিশ্চিত।
ঘ) শুরুতে যা বলেছি সেটা আবারো বলি, মনের জোর হারাবেন না বা নিজেকে দোষ দেবেন না। ব্ল্যাকমেইলিং একটি জঘন্য অপরাধ, তথাকথিত সমাজ আপনাকে যতই ছোট করতে চাক না কেন আইন অনুযায়ী আপনি সহায়তা পাবেন। সমাজের মুখোশধারী মুরুব্বিদের চোখ-কপালে তোলাকে অগ্রাহ্য করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন, আইনের সহায়তা নিন।
মনে রাখবেন, Every saint has a past and every sinner has a future.
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

এরূপ কিছু হলে ভিত না হয়ে প্রশাসনকে জানান!


জঙ্গি তালিকায় নাম আছে জানিয়ে RAB পরিচয় দিয়ে মো. আব্দুস ছালাম (৫০) নামে বীরগঞ্জের এক ইউপি সদস্যের কাছে মুঠোফোনে টাকা দাবি করা হয়েছে। তিনি উপজেলার শতগ্রাম ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের মৃত জমসের আলীর ছেলে এবং ওই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই, ২০১৬) দুপুর ১২টায় এ ব্যাপারে বীরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

ইউপি সদ্যস্য আব্দুস ছালাম জানান, সোমবার রাত ৯টা ৫৫মিনিটে একটি অচেনা মোবাইল নম্বর থেকে নিজেকে RAB-13 এর অফিসার রাসেল পরিচয় দিয়ে কোনো এক ব্যক্তি বলেন, আমার নামসহ এই এলাকার আমার পরিচিত আরো পাঁচজনের নাম জঙ্গি তালিকায় রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তালিকা হতে নামগুলি বাদ দেয়া যাবে। এতে কিছু টাকা খরচ হবে।

টাকার কথা উল্লেখ না করে ওই ব্যক্তি আরো বলেন, ‘আপনারা আলোচনা করে আমাকে জানাবেন। টাকা বিকাশ করে পাঠাতে হবে। যেহেতু আপনাদের নাম জঙ্গি তালিকায় রয়েছে সে কারণে আপনারা এখানে আসতে পারবেন না।’

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু আককাছ আহম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এব্যাপারে আব্দুস ছালাম থানায় একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করা হবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, January 28, 2019

কোর্ট ম্যারেজ হইতে সাবধান!


কোর্ট ম্যারেজ বলে কোন কিছু আইনে নেই। যুবক-যুবতি বা নারী-পুরুষ স্বামী-স্ত্রী হিসাবে একত্রে বসবাস করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে যে হলফনামা সম্পাদন করে থাকে, তাই কোর্ট ম্যারেজ নামে পরিচিত। এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই।
এই রুপ কোন বিয়ে যদি কাজী অফিসে রেজিষ্ট্রী না করা হয় তাহলে আইনগত কোনো ভিত্তি থাকবে না। কোন এক সময় যদি একপক্ষ অন্য পক্ষকে ত্যাগ করে তাহলে আইনগত কোন প্রতিকার পাবে না।
পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে কিংবা একশত পঞ্চাশ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিষ্ট্রেটের কার্যালয়ে গিয়ে হলফনামা করাকে বিয়ে বলে অভিহিত করা হয়। অথচ এফিডেভিট বা হলফনামা শুধুই একটি ঘোষণাপত্র।
আইনানুযায়ী কাবিন রেজিষ্ট্রী ও আকদ সম্পন্ন করেই কেবল ঘোষণার জন্য এফিডেভিট করা যাবে।
আবেগঘন সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেক তরুণ তরুণীর ভুল ধারণা হয় যে, শুধুমাত্র এফিডেভিট করে বিয়ে করলে বন্ধন শক্ত হয়। কাজী অফিসে বিয়ের জন্য বিরাট অঙ্কের ফিস দিতে হয় বলে কোর্ট ম্যারেজকে অধিকতর ভাল মনে করে তারা।
যদি কাবিন রেজিষ্ট্রী করা না হয় তাহলে স্ত্রী মোহরানা আদায় করতে ব্যার্থ হবে। অধিকিন্তু আইন অনুযায়ী তার বিয়ে প্রমান করাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে। তাই এই ক্ষেত্রে সঙ্গী কর্তৃক প্রতারিত হবার সম্ভাবানাই অধিক।
মুসলিম বিবাহ ও তালাক (রেজিস্ট্রিকরণ) আইন, ১৯৭৪-এর ধারা ৫(২) অনুযায়ী যে ক্ষেত্রে একজন নিকাহ রেজিস্টার ব্যাতিত অন্য ব্যাক্তি দ্বারা বিবাহ অনুষ্টিত হয় সে ক্ষেত্রে বর বিবাহ অনুষ্টানের তারিখ থেকে পরবর্তী (৩০) ত্রিশ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্টারের নিকট প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
ধারা ৫(৪) অনুযায়ী অত্র আইনের বিধান লঙ্গন করলে দুই বছর পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য মেয়াদের বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বর্ধনযোগ্য জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, January 24, 2019

ঢাকায় ডাবের পানিতে মহাবিপদ!


ঢাকার ডাবের পানি পান থেকে সাবধান! যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। ঢাকার ডাবের পানি পান করলে ডেকে আনতে পারে মহাবিপদ। রাজধানীর সংঘবদ্ধ একটি চক্র ডাব বিক্রেতাদের সঙ্গে আঁতাত করে ডাবের পানিতে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে রাখে। ক্রেতারা ডাব কিনে পানি পান করার কিছুক্ষণ পর অচেতন হয়ে পড়লে ওঁৎপেতে থাকা চক্রটি ওই লোক অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে তার সর্বস্ব লুটে নেয়।

কেউ জানতে চাইলে চক্রটি বলে, অচেতন হওয়া লোকটি তাদের আত্মীয়। তখন লোকজন তার আশপাশে ভিড় করে না। জানা গেছে, চক্রটি রাজধানীর কিছু কিছু এলাকা টার্গেট করে। তবে ব্যস্ততম এলাকাকে তারা বেছে নেয়, যাতে কেউ কারো খবর না রাখে। চক্রটি ইনজেকশনের সিরিঞ্জের মাধ্যমে ডাবে নেশাজাতীয় ওষুধ পুশ করে।

পরে ওই ছিদ্রস্থান আঠাজাতীয় বা সুপারব্লু দিয়ে বন্ধ করে দেয়, তাতে বুঝার কোনো উপায় থাকে না। চক্রটির টার্গেট করা ডাবের পানি খেলেই মহাবিপদ। এমন বিপদে পড়ে গত ৮ অক্টোবর মারা যান গাজীপুরের সেলিম। রাজধানীর মহাখালীতে ডাবের পানি পান করেছিলেন আব্দুস সেলিম (৪০)। ওইদিন রাত ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।

এবার ডাব কিনে খেয়ে প্রাণ গেল ৫৫ বছর বয়সী হাজী মহসিন আলীর। গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানায় পুলিশ। বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে মহসিন আলীকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ২টায় তার মৃত্যু হয়। মহসিন আলী মেরুল বাড্ডার বিআইপি প্রজেক্ট এলাকার ১১নং রোডের ৬৯/৭১নং বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বওড়া গ্রামে। মহসিন আলীর পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে হাজী মহসিন মিরপুর থেকে অলীক পরিবহনযোগে মেরুল বাড্ডায় আসছিলেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

ফেক এ্যাকাউন্ট খুলে আপনার মানহানি করলে কী করবেন?

ব্লাকমেইলিং প্রতিরোধ


আপনার নামে ফেক ফেসবুক আইডি খোলে আপনার নামে কুৎসা রটালে আপনি কি করবেন?

আপনি ০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮ এই নাম্বারে ফোন করে অভিযোগ করবেন।

ভুক্তভোগীর কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীর আইডি বন্ধের জন্য বিটিআরসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারো আপত্তিকর বা অশ্লীল ছবি এবং ভিডিও ফেসবুক, মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটে আপলোডের মাধ্যমে হয়রানি করলে অপরাধীর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা করতে পারেন।
এসব অপরাধের এ আইনের ৫৬ ধারা অনুযায়ী অপরাধী ১০ বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এক কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন বা উভয় দণ্ড পেতে পারেন।

যখনই আপনার ওপর কোনো আক্রমণ হবে, তখনই ফোন করে সাহায্য চান এই নম্বরে—০১৭৬৬৬৭৮৮৮৮। এই হেল্পলাইন সপ্তাহের সাত দিন, ২৪ ঘণ্টা সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। আপনি চাইলে যেকোনো সময় এখানে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। এ ছাড়া সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রতিটি জেলায় ‘সাইবার ক্রাইম কন্ট্রোল কমিটি’ গঠন করা হচ্ছে।
সুত্র-অনলাইন (সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

রাজধানীতে দয়া দেখালেই বিপদ!


রাজধানীর ভয়ঙ্কর ফাঁদ, দয়া দেখালেই বিপদ! নিজে জানুন ও শেয়ার করে সবাই কে সতর্ক করুন...

ঢাকায় আসছে হাজারো মানুষ। হুহু করে বাড়ছে রাজধানীর জনসংখ্যা। স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, অফিস বা কাজের জন্য প্রতিদিনই নামতে হয় রাস্তায়। আগে থেকে জানা না থাকলে যে কেউ পড়তে পারেন ভয়ঙ্কর ফাঁদে। যেতে পারে প্রাণও।

১. ‘ফার্মগেটে হঠাৎ দেখতে পেলেন, কিছু মানুষ একজনকে মেরে রক্তাত্ত করছেন। আর সে আপনাকে বলছে ভাই, সাহায্য করুন। আপনি দয়া দেখিয়ে এগিয়ে গেলেই ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটতে পারে। ওরা আপনাকে মেরে সব নিয়ে যেতে পারে। কারণ, ওরা সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র।

২. ‘ওভার ব্রিজের ওপর নারী কাঁদছেন। সে যার সঙ্গে দেখা করবেন তার মোবাইলে কল দিতে হবে। কিন্তু, তার কাছে টাকা নেই। বলবে আপনার মোবাইল দিয়ে সেই লোকের নম্বরে মিসকল দিলেও সে ব্যাক করবে। আপনি কল দিলেন তো ফাঁদে পড়লেন। ওরা নিরীহ মানুষ দেখে তাদের নম্বর সংগ্রহ করে ও পরবর্তীতে সেই নম্বরে কল করে লোভনীয় প্রস্তাব দেয়। রাজী হলে আপনাকে তাদের আস্তানায় নিয়ে ব্লাক মেইল করবে।’

৩. ‘শাহবাগ, মহাখালী, যাত্রাবাড়ী জ্যামে আটকে আছেন। নানা ধরনের লিফলেট যেমন- দুর্বলতা, রোগে, নানা লোভে আপনাকে ফাঁদে ফেলার ব্যবস্থা। এমনভাবে বলবে যে, রুম ডেটের ব্যবস্থা আছে।’

৪. ‘রাস্তায় সুন্দর চোখের বোরকা পরা তরুণী আপনার সঙ্গে কথা বলতে চায়। প্রেম প্রস্তাব নয়। শুধু ইসারা। আপনি ভাববেন একটু চেষ্টা করলে কাছে পাবেন। যদি তাই ভাবেন তবে ধরা পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ। আপনাকে তাদের আস্তানায় নেবে। তারপর আপনার কিছু করা লাগবে না। সব হারাবেন। মেয়ে দিয়ে ব্লাক মেইল করবে।’

৫. ‘গাবতলি, সায়েদাবাদ, কিংবা সদরঘাট, মাওয়া, আরিচা, দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটে বসে আছেন, দেখলেন যে বাইরে তাস, লুডু ইত্যাদি খেলছে, কাছে গেলেন কি ফেঁসে গেলেন।’

৬. ‘যাত্রাপথে অপরিচিত লোকের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন খুবই কম। আপনি যে স্থানে যাবেন তা যেন আপনার পরিচিত লোকজনই শুধু জানে।

৭. ‘রেলগাড়ির ছাঁদে চলাচল করা থেকে বিরত থাকবেন, কারণ এক দল ছেলে পাওয়া যায়, যারা রেলের ছাদের উপর থেকে ছিনতাই করে ছাদ থেকে ফেলে দেয়।’

৮. ‘লঞ্চে কম যাত্রী থাকলে উঠবেন না।’

৯. ‘যারা দ্রুত যাতায়াতের জন্য স্পীড বোটে যাতায়াত করবেন তারা টাকা বা মুল্যবান কিছু সাথে নিবেন না। কারণ দেখা গিয়েছে যে, এক দল আছে যারা বোট ছাড়ার পর নির্জন স্থানে বোট ভিড়িয়ে ছিনতাই করে আপনাকে নামিয়ে দিতে পারে।’

১০. ‘হেঁটে যেতে হলে বিভিন্ন বাসের মাঝখান দিয়ে যাওয়া অনুচিত কারণ নেশাখোর ওঁত পেতে থাকে ছিনতাই এর জন্য।’
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

মেয়েরা ঢাকায় "টিউটর দিচ্ছি-নিচ্ছি" থেকে সতর্ক হোন!


সাবধান হোন!…“টিউটর দিচ্ছি/নিচ্ছি“ এর আড়ালে একি হচ্ছে ঢাকায়!

পাঠকের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে আমরা সবসময় সেগুলোর কিছু পরামর্শ দেবার জন্য চেষ্টা করি, আমাদের সাথে আছেন একজন আইনজীবী এবং দুইজন মনোবিশারদ। আজকে আপনাদের সামনে একটি লেখা তুলে ধরলাম, আজকের এই বিষয়ের ভয়াবহতা যে কত ব্যাপক সেটা হয়তো এটা পড়ার পর বুজতে পারবেন, এই লেখাটি পড়ে আপনারাই মন্তব্য করবেন…… এবারের লেখাটি আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী নিতু,

আমরা নিতুর ভাষায় লেখাটি প্রকাশ করছি আমাদের চারপাশে সচারাচর একটি পোস্টার/বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। সেটি হলো “টিউটর দিচ্ছি/নিচ্ছি“! এই পোস্টার/বিজ্ঞাপনটি বাস এবং কলেজ/ভার্সিটির সামনে বেশি দেখা যায়। পাঠক, আজকে আপনাদের সামনে এই পোস্টার/বিজ্ঞাপনের পেছনে কি ভয়াবহতা লুকিয়ে আছে তা দেখাবো। প্রিয়া (ছদ্ম নাম) মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে।

সে একটি ভার্সিটিতে পড়ে। একদিন ভার্সিটির হল থেকে বের হওয়ার সময় গেইটের পাশের দেয়ালে “শিক্ষিকা চাই” নামে একটা পোস্টার দেখতে পেল। “ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রকে পড়াতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা বুয়েটের যে কোন ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী আবশ্যক”। প্রিয়ার একটা টিউশনি খুবই প্রয়োজন। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা আর ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নেয়ার জন্য

এই মূহূর্তে একটা টিউশনি তার জরুরি দরকার। তাই পোস্টারে প্রদত্ত ফোন নাম্বারটিতে সে যোগাযোগ করলো। মোটামুটি সব কিছুই নির্ধারন করে দেয়া হল। সপ্তাহে ৩ দিন পড়াতে হবে। মাসে ৫০০০ টাকা। প্রিয়া অনেক খুশি হয়ে গেল। এই ৫০০০ টাকা দিয়ে এখন সে তার মা-ভাইয়ের জন্য অনেক কিছুই করতে পারবে।

তো নির্ধারিত দিনেই প্রিয়া তার ছাত্রের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হলো। কলিং বেল চাপার পর কেউ একজন দরজা খুলে দিল। সে ঘরে ঢোকার পর এমন কিছু ঘটলো যার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। দু-তিনজন লোক আগে থেকেই প্রিয়াকে দেখতে পেয়েছিল। সে বাসায় ছিল দরজা দিয়ে প্রবেশের সাথে সাথেই তার উপর পশুর মত ঝাপিয়ে পড়ে সেই লোকগুলো। কয়েক ঘন্টা পাশবিক নির্যাতনের পর জীবননাশের ভয় দেখিয়ে তারা বাসা থেকে প্রিয়াকে বের করে দেয়। এবার জুতার ভেতর গোপন ক্যমেরা,নারীর অশ্লীল দৃশ্য ধারণ! দেশজুড়ে তোলপাড় তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর শুরু ভিডিও টেপ করা সেই দৃশ্য, যা দিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করে।

ফলাফল আত্মহত্যা… নাম না জানা এরকম হাজারো প্রিয়া জীবন আজ এরকম ভূয়া পোস্টার/বিজ্ঞাপনের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হচ্ছে। আপনাদের সবারই জানা টিউশনির নাম করে এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে হরহামেশাই ঘটছে। কয়েকটা নির্দিষ্ট গ্রুপ আছে যারা এইসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এরা ধরা ছোয়ার বাইরে। তাই নিজেদের সচেতন হতে হবে। একা একা অপরিচিত জায়গায় টিউশনিতে গেলে অবশ্যই সাথে কাউকে নিয়ে যাওয়া উচিত। আরও একটা বিষয়, ক্লাশ “টু” এর বাচ্চা পড়াতে ঢাবি, বুয়েটের স্টুডেন্ট কেন লাগবে? তাও আবার ছাত্রী আবশ্যক!!!

সময়ের তুলনায় টাকার পরিমাণ কি একটু বেশি? ইত্যাদি বিষয়ে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষনকরে টিউশনিতে যাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, ছোট্ট একটি বাজে ঘটনা সাজানো গুছানো সুন্দর একটি জীবনকে সুনামির মত ধ্বংস করে দেয়। এভাবেই মনুষ্যরুপি জানোয়ারদের কারণে ধংশ হয়ে যায় একটি স্বপ্ন একটি আশা,লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিয়ে সচেতনেতাই অবদান রাখবেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, January 23, 2019

ফোন করা ভুয়া পীর/ দরবেশ/ ফেরেশতা দের এড়িয়ে চলুন।


ভোর ৪:৫০,
ঢাকার প্রায় সব মসজিদে একযোগে ফজরের আজান হচ্ছে। ঠিক এই সময় +8801708867290 এই নাম্বার থেকে একটা কল আসলো। আমি ভয় পেয়ে গেছি; এমন সময় কোন সাধারণ মানুষ কোন সাধারণ কারণে কাউকে কল দেয় না। এই সময় কল আসলে আমি খুব বড় কোন দুর্ঘটনার (যেমন, কারোর মৃত্যু সংবাদ) আশংকা করি এবং ভয়ে ভয়ে ফোন ধরি। আজকে রাতে আবার খুব আপন একজন জার্নিতে ছিল। তাই ভয়টা আরও একটু বেশিই পেয়েছিলাম। তো, ফোন ধরার পর বিশাল লম্বা সালাম (আমার মনে হল ইচ্ছাকৃত ভাবে কণ্ঠ বিকৃত এবং ভারী করা)।
অতঃপর, এই সময়ে সালামের কি মোজেজা, এই সময় নামাজ পড়ার সময়, দুনিয়ার ধন সম্পদ যে কোন কাজে আসবে না, কবরে শুধু সাড়ে ৩ হাত সাদা কাফনের কাপড় ছাড়া যে আর কিছুই নিয়ে যাওয়া যাবে না সে বিষয়ে, দুনিয়াদারী বিষয়ে অনেক হাদিস শুনালেন এবং প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার প্রতিশ্রুতি আদায় করলেন। প্রতি হাদিসের/বাণীর পর আমি শুধু উনার ইচ্ছায় আলহামদুলিল্লাহ/সুভাহানাল্লাহ বলা ছাড়া আর কোন শব্দ উচ্চারণ করার সুযোগ পাইনি। আমি ভাবছিলাম যে হয়তো, মাঝে মাঝে ম্যাসেজে যে দ্বীনের দাওয়াত দেয় বা তাবলীগ জামাতে যে মানুষ অন্য মানুষকে আল্লাহর পথের দাওয়াত দেয় এইটাও মনে হয় একটা নতুন পদ্ধতি। এভাবে উনি আমাকে দাওয়াত দেয়ার চেষ্টা করছেন। যদিও এই টাইমে মানুষের ঘুম ভাঙ্গাইয়া দুনিয়ার সবচেয়ে ভাল সংবাদ দেয়াটাকেও আমি অসভ্যতা-জ্ঞান করি তার পরও খুব একটা মাইন্ড করিনাই। কেননা, এইসব করে যদি একজন মানুষ শান্তি পান এবং তার জন্য আমার খানিকটা ঘুম নষ্টও হয়, এমন কোন ক্ষতি নাই। আরেকজনের উপকার তো হল।
পরের স্টেপে আমাকে খানিক দম ফেলানোর সুযোগ দিয়ে আমাকে প্রশ্ন করলেন, যে “আল্লাহর ভূমির কোন জেলায় অবস্থান করছেন বাবা?”
আমি অত্যন্ত বিনয়ের সহিত আমার ঠিকানা জানাতে অস্বীকার করি এবং বলি যে আমার ঠিকানা জানাতে চাচ্ছি না। এতে উনি খুব আহত হলেন এবং রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে গেলেন। আমি যে কতো বড় নাফরমান এবং এই অস্বীকার করায় কি কি ক্ষতি হল সেগুলো সম্পর্কে অনেক গরম গরম কথা বলেন। বলতে বলতে উনি আমাকে জানালেন যে উনি একজন ফেরেশতা, আল্লাহতালা আমার খুব বড় একটা উপকার করার জন্য উনাকে আমার কাছে পাঠিয়েছেন। আমি বললাম যে “দেখুন, আপনার মনে হয় খুব কম পড়াশোনা জানা, আল্লাহর সৃষ্টির বিশালতা সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নাই। তিনি আপনার দেখা পৃথিবীর বাইরেও আরও অনেক কিছু সৃষ্টি করেছেন। যিনি এতো কিছু সৃষ্টি করেছেন তিনি কি তার একজন বান্দা কোথায় আছে সেটা জানার জন্য আমার কথার অপেক্ষা করবেন?” এতে তার রাগ আরও কয়েক গুণ বেড়ে গেল। আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ (যার মধ্যে অনেক গুলই আজকেই আমি জীবনের প্রথম শুনলাম এবং সেগুলো উচ্চারণ করার মতো মানসিকতা এখনো গড়ে তুলতে পারিনাই) করতে লাগলেন এবং অভিশাপ দিতে লাগলেন। আমার অনেক ক্ষতির কথা জানালেন। আমার সন্তান আগামী ৩ দিনের মধ্যে মারা যাবে এবং আমার পরিবারের সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে, আমার গাড়ী এক্সিডেন্ট হবে আগামী ৩ দিনের মধ্যে এসব তথ্য জানালেন। কথা বলারই সুযোগ পাই নাই একটুও। একসময় এইসব ক্ষতি থেকে বাঁচাতে আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবী করে বসলেন। না হলে এইসব ক্ষতি থেকে আমার আর কোন রেহাই নাই। এক ফাঁকে জানতে চাইলাম যে, “আমার তো সন্তান নাই এখনো, সেক্ষেত্রে সন্তানের ভাগের ক্ষতিটা কে বহন করবে?” অপর প্রান্তে গালাগালি আর অভিশাপ বর্ষণ চলতে লাগলো।
এমতাবস্থায় উনার ফেরেশতা পদ নিয়ে আমার মনে সংশয় দেখা দিল, আমি তার কাছে জানতে চাইলাম “আল্লাহ কি ফেরেশতাদের কিছু ক্ষমতা কমিয়ে দিয়েছেন নাকি? আপনাদের সহনশীলতা মনে হয় আর আগের মতো নাই। আর আগে তো জানতাম ফেরেশতারা গায়েবী প্রক্রিয়ায় মানুষের সাথে যোগাযোগ করে, এখন দেখছি আপনাদেরও মোবাইল ফোন ব্যবহার করা লাগে, ক্ষুধা-তৃষ্ণার ঊর্ধ্বে থাকা ফেরেশতাদের ইদানীং টাকা পয়সারও দরকার হয়”!
উনি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না। হতাশায় ফোন কেটে দিলেন। এবং কাটার আগে উনি জানালেন যে আমার মতো নাফরমান-নালায়েক বান্দা নাকি আর একটাও নাই এই দুনিয়ায়।
এই গ্রুপে কি গ্রামীণফোন বা পুলিশে কাজ করেন এমন কেও আছেন, যে এই ব্যাপারে কোন লিগ্যাল পদক্ষেপ নিতে পারবেন বা উনার পরিচয় আবিষ্কার করতে পারবেন? আমাকে হয়তো আর ফোন করবেন না উনি, কিন্তু আমার মতো আরও অনেকেই ব্ল্যাক-মেইলের স্বীকার হতে পারে এই ফেরেশতার দ্বারা।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

রাতে ট্রেন ভ্রমণে সতর্কতামূলক বুলেটিন!


যারা রাতে ট্রেন জার্নি করেন তাদের জন্যে এই তথ্যটি খুবই জরুরি। পড়ুন এবং শেয়ার করুন!

যমুনা টিভির 'ক্রাইম সিন' নামক অনুষ্ঠানে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করে ঢাকা-চিটাগাং ট্রেন লাইন নিয়ে। গত কয়েক বছরে এই লাইনের কিছু কিছু স্পটে প্রায় দেড়শ মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় আখাউড়া ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-কসবা বি-বাড়িয়া হয়ে নরসিংদী পর্যন্ত।
পুলিশ এই লাশগুলো বেশিরভাগ অজ্ঞাত পরিচয় কিংবা আত্মহত্যা হিসেবে রেকর্ড করে। তারপর মর্গ হয়ে মাটিচাপা। হিন্দু-মুসলিম ব্যাপার না, সব মাটিচাপা। ডোম মৃত ব্যক্তির জামা-কাপড় রেলওয়ে ডোমঘরের সামনেই ঝুলিয়ে রাখে। যদি বছর/দুয়েকের ভিতর মা-বাবা এসে জামা-কাপড় দেখে সনাক্ত করতে পারে তবে কবর দেখিয়ে দেওয়া যাবে। জামা-কাপড় রোদে শুকিয়ে, বৃষ্টিতে ভিজে চেহারা-সুরত আস্ত থাকে না।
এই লাশগুলোর বেশিরভাগই মার্ডার কেস। দশ/বিশ/পাঁচশ টাকা; পকেটে থাকা মোবাইল ফোনসেট এসব ছিনতাই করার জন্য মার্ডারগুলো করা হয়। দশ টাকার জন্যও তারা মানুষ খুন করে।
ছিনতাইয়ের পদ্ধতিটা হচ্ছে এ রকম: ট্রেনের দুই বগির মাঝখানে করিডোরের মতো থাকে, দুই পাশে দরজা, বাথরুম। রাতের ট্রেনে এসব জায়গায় সুবিধামতো মফিজ লোক পেলে ছিনতাইকারী চক্রের দুইজন পেছন থেকে আক্রমণ চালায়।
আক্রমণের নিয়ম হচ্ছে-গামছাকে পেঁচিয়ে চিকন করা হয় প্রথমে। এরপর দুই মাথা দুইজন ধরে যাকে আক্রমণ করা হবে, তার গলায় পেছন দিক থেকে এক প্যাঁচ দিয়ে দু’পাশ থেকে হেছকা টান। ১৫ সেকেণ্ডের মধ্যেই ওই লোক মারা যাবে। না মরলেও তার জীবন ওখানেই শেষ।
পরে তার পকেট থেকে যা নেওয়ার, তা নিয়ে পাশের দরজা দিয়ে ফেলে দেয়। রাতের ট্রেনে সবাই ঘুমায়। তাছাড়া ট্রেনের আওয়াজও থাকে। কেউ কিচ্ছু টের পায় না। পুরো কাজটা করতে তাদের সময় লাগে সর্বোচ্চ দেড় মিনিট।
এরা ধরা পড়ে, আবার জামিনে বের হয়! আদালত তো আবার স্বাক্ষীর ওপর নির্ভরশীল! আদালতের কাছে এভিডেন্স থাকে না পর্যাপ্ত। এভিডেন্স না থাকলে বিচারও করা সম্ভব হয় না। তাই চলার পথে অন্তত সতর্ক থাকুন।

তথ্যসূত্র : এসআই ইমরান,
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), রংপুর।

ভালো থাকুন | School of Awareness

বিকাশে লেনদেনে নতুন হুমকি!


bKash এর খালাতো ভাই bKesh আসছে; আমারে, আপনারে বেকুব বানিয়ে ধরা খাওয়াইতে!

চরম এক অভিজ্ঞতা হল আজ। বেইলী রোড BFC তে বসে আলাপ করছিলাম এক বন্ধুর সাথে। হঠাৎ ফোন আসল একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে। রিসিভ করার পর এক ব্যাক্তি ওপার থেকে জানালেন ভুল বশত আমার bKash একাউন্ট এ ১০২০০ টাকা চলে আসছে। আমি যেন তার টাকাটা ফেরত দিয়ে দেই। আমি বললাম কোন ম্যাসেজ তো আসেনি উনি বললেন নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে হয়ত ম্যাসেজ আসেনি ব্যালেন্স চেক করে যেন ওনার টাকাটা ফেরত দিয়ে দেই। উনি একবার এর যায়গায় দুইবার নাকি ভুল করে আমার নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে দিয়েছেন। ফোন কেটে ব্যালেন্স চেক করে দেখলাম ৩০০৪৪ টাকা আছে। ১ মিনিটের মধ্যেই উনি আবার ফোন দিলেন, টাকা পেয়েছি কিনা জিজ্ঞাসা করলেন আমি বললাম ভাই আমার ব্যালেন্স আগে যা ছিল এখনো তাই আছে ৩০০৪৪ টাকা। উনি বললেন ভাই তাহলে আমি bKash হেড অফিসে ফোন করে ব্যাপারটা দেখতেছি। ফোন রাখলাম কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা ম্যাসেজ আসল ক্যাশ ইন হয়েছে ১০২০০ টাকা নতুন ব্যালেন্স ৪০২৪৪ টাকা। আমি ওনার টাকাটা ফেরৎ দিতে যাব এমন সময় আবার ফোন। জিজ্ঞাস করলেন ম্যাসেজ আসছে কিনা। বললাম আসছে। তখন উনি বললেন এক মহিলার টাকা ভুল করে আমার মোবাইল এ পাঠিয়ে দিয়েছেন। এখনি যাতে পাঠিয়ে দেই। আমি বললাম ঠিক আছে পাঠিয়ে দিচ্ছি। সন্দেহ হল একবার বললেন ভুল করে আমার নাম্বারে দুইবার টাকা পাঠাইছে আবার বল্লেন এক মহিলার টাকা ভুল করে আমার নাম্বারে চলে আসছে। কিছুদিন আগে bKesh সম্পর্কে একটা পোষ্ট ফেইসবুকে পরেছিলাম তাই রক্ষা। আমি আবার ম্যাসেজ চেক করলাম দেখলাম Sender: bKesh বুঝলাম ক্ষপ্পরে পরেছি। ব্যালেন্স চেক করতে যাব তখনি আবার ফোন। আমি বললাম ভাই bKesh থেকে আমার একাউন্ট এ ১০২০০ টাকা আসছে। আমার তো bKesh একাউন্ট ই নেই আপনি যদি আপনার ঠিকানাটা একটু বলতেন আমি না হয় এসে আপনাকে টাকাটা দিয়ে যেতাম। উনি বললেন কি বলেন এইসব bKash থেকেই টাকা গেছে আপনি bKash কোম্পানির এস.আর এর সাথে কথা বলেন। অন্য এক ব্যাক্তি ফোন ধরেই বললেন আমি যাতে টাকাটা ফেরৎ দিয়ে দেই। আমি জিজ্ঞাস করলাম ভাই আপনার কোম্পানির নামটা একটু বানান করে বলবেন প্লীজ? উনি একটু রেগে গিয়েই বললেন আমি নাকি আজে বাজে কথা বলছি। পরে আবার বললেন নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে বানান ভুল হয়েছে এবং আমার ব্যালেন্স নাকি ক্যাশ আউট ব্যালেন্স এ যোগ হয়েছে আমি ফোন না কেটেই যেন *২৪৭# ডায়েল করি উনি প্রসেসটা বলবেন আর আমি যেন ফলো করি। বললাম বাটপারী কবে থেইকা শুরু করছেন? ওপাশ থেকে তখন বিভিন্ন হুমকি ধামকি ও গালিগালাজ শুনে ফোন রেখে দিলাম। বার বার ফোন দিচ্ছিল তাই ফোন বন্ধ করে দেই। হঠাৎ চিন্তা হল আমার একাউন্ট এ লাষ্ট ৩ টা ট্রানজেকশন এর এমাউন্ট সেইম ১০২০০ কিন্তু এই বাটপার লোকজন কিভাবে এক্সেক্টলি সেইম এমাউন্ট ক্লেইম করলো? আবার মোবাইল চালু করতেই দেখলাম ১০ টাকা ওই নাম্বার থেকে পাঠিয়েছে। আমি সেইফটির জন্য টাকা অন্য একটা এ্যাকাউন্ট এ ট্রান্সফার করতে গেলাম দেখলাম আমার এ্যাকাউন্ট ব্লক্ড!!! তাৎক্ষনাত bKash কাষ্টমার কেয়ারে ফোন করে যানলাম আমার এ্যাকাউন্ট ব্লক্ড কিন্তু কারণ অজানা। কাষ্টমার কেয়ার প্রতিনিধি সিকিউরিটি ভ্যারিফিকেশন করে এ্যাকাউন্ট চালু করে দিলে আমি সব ব্যালেন্স ক্যাশ আউট ও অন্য এ্যাকাউন্ট এ ট্রান্সফার করে ফেলি। ইনসিকিওরড ফিল করছি bKash এ লেনদেন করতে। অবশ্যই bKash এর কোন কর্মকর্তা কর্মচারী এই চক্রের সাথে জড়িত। নতুবা তারা আমার ট্রানজেকশন হিষ্টরি কীভাবে জানলো?
সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Preface to Movement Awareness!


স্কুল অব অ্যাওয়ারনেস এর "চলাফেরা" বিভাগে রাস্তাঘাটে ও সর্বত্র চলাফেরা বিষয়ে যাবতীয় সতর্কতামূলক নির্দেশনা পাবেন।