সাবধান হোন!…“টিউটর দিচ্ছি/নিচ্ছি“ এর আড়ালে একি হচ্ছে ঢাকায়!
পাঠকের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে আমরা সবসময় সেগুলোর কিছু পরামর্শ দেবার জন্য চেষ্টা করি, আমাদের সাথে আছেন একজন আইনজীবী এবং দুইজন মনোবিশারদ। আজকে আপনাদের সামনে একটি লেখা তুলে ধরলাম, আজকের এই বিষয়ের ভয়াবহতা যে কত ব্যাপক সেটা হয়তো এটা পড়ার পর বুজতে পারবেন, এই লেখাটি পড়ে আপনারাই মন্তব্য করবেন…… এবারের লেখাটি আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্রী নিতু,
আমরা নিতুর ভাষায় লেখাটি প্রকাশ করছি আমাদের চারপাশে সচারাচর একটি পোস্টার/বিজ্ঞাপন দেখতে পাই। সেটি হলো “টিউটর দিচ্ছি/নিচ্ছি“! এই পোস্টার/বিজ্ঞাপনটি বাস এবং কলেজ/ভার্সিটির সামনে বেশি দেখা যায়। পাঠক, আজকে আপনাদের সামনে এই পোস্টার/বিজ্ঞাপনের পেছনে কি ভয়াবহতা লুকিয়ে আছে তা দেখাবো। প্রিয়া (ছদ্ম নাম) মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে।
সে একটি ভার্সিটিতে পড়ে। একদিন ভার্সিটির হল থেকে বের হওয়ার সময় গেইটের পাশের দেয়ালে “শিক্ষিকা চাই” নামে একটা পোস্টার দেখতে পেল। “ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ২য় শ্রেণির ছাত্রকে পড়াতে হবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবা বুয়েটের যে কোন ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী আবশ্যক”। প্রিয়ার একটা টিউশনি খুবই প্রয়োজন। অসুস্থ মায়ের চিকিৎসা আর ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা চালিয়ে নেয়ার জন্য
এই মূহূর্তে একটা টিউশনি তার জরুরি দরকার। তাই পোস্টারে প্রদত্ত ফোন নাম্বারটিতে সে যোগাযোগ করলো। মোটামুটি সব কিছুই নির্ধারন করে দেয়া হল। সপ্তাহে ৩ দিন পড়াতে হবে। মাসে ৫০০০ টাকা। প্রিয়া অনেক খুশি হয়ে গেল। এই ৫০০০ টাকা দিয়ে এখন সে তার মা-ভাইয়ের জন্য অনেক কিছুই করতে পারবে।
তো নির্ধারিত দিনেই প্রিয়া তার ছাত্রের বাসায় গিয়ে উপস্থিত হলো। কলিং বেল চাপার পর কেউ একজন দরজা খুলে দিল। সে ঘরে ঢোকার পর এমন কিছু ঘটলো যার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। দু-তিনজন লোক আগে থেকেই প্রিয়াকে দেখতে পেয়েছিল। সে বাসায় ছিল দরজা দিয়ে প্রবেশের সাথে সাথেই তার উপর পশুর মত ঝাপিয়ে পড়ে সেই লোকগুলো। কয়েক ঘন্টা পাশবিক নির্যাতনের পর জীবননাশের ভয় দেখিয়ে তারা বাসা থেকে প্রিয়াকে বের করে দেয়। এবার জুতার ভেতর গোপন ক্যমেরা,নারীর অশ্লীল দৃশ্য ধারণ! দেশজুড়ে তোলপাড় তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এরপর শুরু ভিডিও টেপ করা সেই দৃশ্য, যা দিয়ে তাকে ব্লাকমেইল করে।
ফলাফল আত্মহত্যা… নাম না জানা এরকম হাজারো প্রিয়া জীবন আজ এরকম ভূয়া পোস্টার/বিজ্ঞাপনের কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হচ্ছে। আপনাদের সবারই জানা টিউশনির নাম করে এমন ঘটনা আমাদের চারপাশে হরহামেশাই ঘটছে। কয়েকটা নির্দিষ্ট গ্রুপ আছে যারা এইসব অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এরা ধরা ছোয়ার বাইরে। তাই নিজেদের সচেতন হতে হবে। একা একা অপরিচিত জায়গায় টিউশনিতে গেলে অবশ্যই সাথে কাউকে নিয়ে যাওয়া উচিত। আরও একটা বিষয়, ক্লাশ “টু” এর বাচ্চা পড়াতে ঢাবি, বুয়েটের স্টুডেন্ট কেন লাগবে? তাও আবার ছাত্রী আবশ্যক!!!
সময়ের তুলনায় টাকার পরিমাণ কি একটু বেশি? ইত্যাদি বিষয়ে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষনকরে টিউশনিতে যাওয়া উচিত। মনে রাখবেন, ছোট্ট একটি বাজে ঘটনা সাজানো গুছানো সুন্দর একটি জীবনকে সুনামির মত ধ্বংস করে দেয়। এভাবেই মনুষ্যরুপি জানোয়ারদের কারণে ধংশ হয়ে যায় একটি স্বপ্ন একটি আশা,লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দিয়ে সচেতনেতাই অবদান রাখবেন।
(সংগৃহীত)
ভালো থাকুন | School of Awareness
No comments:
Post a Comment