Friday, August 23, 2019

‘দুষ্টু’ নারীরা বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করছে


বর্তমানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী স্ত্রী ডিভোর্স দিলেও তাকে দেন মোহর পরিশোধের বিধান রয়েছে। আইনটি সংশোধনের দাবি জানিয়ে ‘স্ত্রী ডিভোর্স দিলে দেনমোহরের টাকা পাবে কেন?’ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন। মানববন্ধনে বক্তারা তাদের দাবির পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরেছেন।

সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম বলেন, ‘আমাদের দেশে সাধারণত বিয়ের সময় পাত্রী পক্ষ জোরপূর্বক পাত্রকে সাধ্যের অতিরিক্ত টাকা কাবিননামায় ধার্য করতে বাধ্য করেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে এসব কাবিন হয় বাকিতে। অর্থাৎ দেখা গেল কনে পক্ষের দাবি অনুযায়ী, কাবিন করা হল ১০ লাখ। এর মধ্যে গহনা ও অন্যান্য জিনিস বাবদ ২ থেকে ৩ লাখ টাকা পরিশোধ দেখিয়ে পুরোটাই বাকি রাখা হয়।’

তিনি বলেন, ‘ইসলামী বিধান হল বিয়ের সময়ই দেনমোহর পুরোটা পরিশোধ করা। তবে এই কথা শুনে কে? বাকি থাকা বা বাড়তি এই দেনমোহন পরে কাল হয়ে দাড়ায়। বিভিন্ন কেস স্টাডি থেকে জানা গেছে, অতিরিক্ত দেনমোহরের কারনে স্বামী তার স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের অনৈতিক দাবি মেনে নিতে বাধ্য হন।’

বক্তারা বলেন, ‘পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার আয়াত নং- ২২৯ অনুসারে যদি কোন স্ত্রী তার স্বামীর কাছ থেকে মুক্ত হতে চান তবে কোন কিছুর বিনিময় হতে হবে, যা তার মোহরানার অতিরিক্ত হবে না।

তাই ইসলাম অনুসারে দেখা যায়, স্ত্রী কর্তৃক স্বামী ক্ষতিগ্রস্ত হলে স্ত্রী স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের দেশীয় আইন অনুযায়ী স্ত্রী কর্তৃক স্বামীকে তালাক প্রদান করা হলেও স্বামীকে দেনমোহর প্রদান করতে হয়, যা ইসলামের সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

বক্তরা অভিযোগ করেন, ‘এই আইনটিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে কিছু সংখ্যক ‘দুষ্টু’ নারী বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করছে। ওই সমস্ত নারীরা বিয়ে করে এবং ১ মাস পরে স্বামীকে তালাক দিয়ে কাবিনের টাকা আদায় করে। অথচ স্বামীরা নিরুপায়। কারণ আইনে আছে স্বামীকে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হবে।’

শেখ খায়রুল আলম বলেন, ‘লন্ডন প্রবাসী এক নারী প্রতি বছর বাংলাদেশে এসে বিয়ে করে কাবিনের ২০ লাখ টাকা নিয়ে যায়। যার শিকার হয়েছে আমার পাশের গ্রামের এক ছোট ভাই। অনেক নারী কাবিনের ব্যবসা করে কোটিপতি হয়েছে। তাই বহু বিবাহ রোধে বিবাহের রেজিষ্ট্রেশন ডিজিটালাইজেশন করা হোক। এভাবে চলতে পারে না।’ পাশাপাশি বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন -এর পক্ষ থেকে এই আইনটির সংশোধনের দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সংগঠনটির মহাসচিব প্রকৌশলী ফারুক শাজেদ শুভসহ জে.এইচ. খান শাহীন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, পটুয়াখালী জেলা শাখার আহ্বায়ক কাজী মোঃ সুমন, সাকসেস হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ সোবাহান বেপারী, ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ আতিকুর রহমান, ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক লিটন গাজী ও ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এর ব্যক্তিগত সহকারী মেহেদী হাসান। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলম।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

রাজধানীতে ভয়ঙ্কর ‘গাড়ি পার্টি’, উঠলেই সর্বনাশ!


রাজধানীতে ভাড়ায় যাত্রী নেয়ার কথা বলে সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে গাড়ি পার্টি। প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস নিয়ে রাজপথে নেমে পড়ে তারা। চেহারা দেখে বোঝার উপায় নেই এরা ছিনতাইকারী।

কখনো যাত্রী বহনের ছলে টার্গেট করা ব্যক্তিকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়। আবার কখনো ফাঁকা রাস্তায় জোর করেই গাড়ির মধ্যে টেনে নেয়। গাড়িতে তুলেই শুরু হয় নির্যাতন। টাকা, মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন, ব্যাংকের ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড সবই তাদের চাই।

তাদের কবলে পড়লে মোটরসাইকেল আরোহীদেরও রেহাই নেই। মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি সবই লুটে নেয় এ চক্রটি। রাজধানীতে সক্রিয় হয়ে ওঠা এমন চক্রকে ‘গাড়ি পার্টি’ বলে অভিহিত করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

শাহবাগ এলাকায় গাড়ি পার্টির কবলে পড়েন মোজাম্মেল হোসেন। রাত ৮টার দিকে তিনজন যাত্রী নিয়ে একটি সাদা মাইক্রোবাস থেকে একজন মতিঝিল যাবে বলে ডাকছিল। ভাড়া মাত্র ২০ টাকা দিতে হবে বলার পর রিপন গাড়িতে উঠেন। তারপরই তিন যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী তাকে জিম্মি করে। একজন পকেট থেকে পিস্তল বের করে বলে, যা আছে দিয়ে নেমে যা। চিৎকার কিংবা কথা বললে সোজা গুলি হজম করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মানিব্যাগসহ যা ছিল দিয়ে দেন। 
এরপর রাজউক এভিনিউ এলাকায় মাইক্রোবাসের দরজা খুলে তাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দ্রুত চলে যায়। এ ঘটনায় তিনি মতিঝিল থানায় গেলে পুলিশ ঘটনাটি সাধারণ ডায়রি হিসেবে লিখে রাখে।

কয়েকদিন আগের ঘটনা। তখন রাত ৮টা। ধানমন্ডি এলাকার ১৫ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন রায়হান চৌধুরী। তখন সাদা রঙের মাইক্রোবাস থেকে যাত্রী ডাকছিলেন, একজন দরকার, একজন। তিনি চালকের সঙ্গে ভাড়ার ব্যাপারে কথা বলেন। মাত্র ৩০ টাকা ভাড়ায় রাজি হন চালক। গাড়িতে ওঠার পরই যাত্রী বেশে থাকা তিন ছিনতাইকারী তাকে জিম্মি করে। একজন পকেট থেকে পিস্তল বের করে বলে, কথা বললেই গুলি করা হবে। 
মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন নিয়ে পল্টন এলাকায় রায়হানকে নামিয়ে দিতে চান তারা। বিপত্তি বাধায় মানিব্যাগে থাকা একটি ক্রেডিট কার্ড। যানজটের মধ্যে গাড়ি ধীরে চলতে থাকে, আর ভিতরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। রায়হানের কার্ডের পিন নম্বর চান তারা। তিনি ভুলে গেছেন বলে দাবি করলে পিস্তলের বাঁট দিয়ে তার ঘাড়ে আঘাত করেন একজন। এক পর্যায়ে পিন নম্বর বলে দেন মাসুদ।

মতিঝিলে একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের কাছে গিয়ে মাইক্রোবাসটি দাঁড়ায়। একজন নেমে যান। গাড়ি আবার চলতে থাকে। কিছুক্ষণ পর একটি কল আসে একজনের ফোনে। তখন গাড়ি ঘুরে আবার দৈনিক বাংলা মোড়ে আসে। হঠাৎ করেই গাড়ির দরজা খুলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া হয় রায়হানকে।
ভুক্তভোগী রায়হান জানান, নগদ আট হাজার ও ক্রেডিট কার্ডের ২৮ হাজার টাকা খোয়ান তিনি। এখানেই থেমে থাকে না এ চক্র। কারও কাছে টাকা বা মূল্যবান কিছু না পেলে তাকে আটকে আদায় করছে মুক্তিপণ।

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানী-বারিধারা ছাড়াও আবদুল্লাহপুর, উত্তরা, কাওলা, বিমানবন্দর সড়ক, মহাখালী, কুড়িল-বাড্ডা-রামপুরা, কাকরাইল, মতিঝিল, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ধানমন্ডি, মিরপুর রোড ও গাবতলী এলাকায় ছিনতাইকারী ১০টি চক্র রয়েছে। গাড়ি পার্টির সদস্যরা উঠতি বয়সের তরুণ থেকে যুবক।

পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার মতে, এরা ইয়াবা ও ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন মাদকে আসক্ত। রাজধানীতে পেশাদার ছিনতাইকারীদের তালিকা থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের দপ্তরে রয়েছে। তারপরেও অনেকেই রয়েছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এই অপরাধী চক্রটি তিনটি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেল স্টেশনের সামনে যাত্রী বহনের জন্য বসে থাকে। টার্গেট করা লোককে গাড়িতে উঠিয়ে ফাঁকা জায়গায় নামিয়ে দিয়ে মালামাল কেড়ে নেয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের রেকর্ডপত্র বলছে, প্রতি রাতেই আহত লোক জরুরি বিভাগে আসে। এদের প্রায় সবাই প্রহারে আহত অবস্থায় এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যায়। ঘটনা সম্পর্কে আহতরা কর্তব্যতর চিকিৎসককে যে তথ্য দেয় তা হচ্ছে মাইক্রোবাসে উঠিয়ে মারপিট করে জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা থানা পর্যন্ত তেমন একটা গড়ায় না।

আবার কেউ কেউ ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে থানায় মামলা করেন। তবে মাইক্রোবাস কিংবা প্রাইভেটকারের নম্বর ও আরোহী সম্পর্কে ঘটনার শিকার লোক পুলিশকে কোন তথ্য দিতে পারেন না। আবার হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যারা চলে যান তাদের অনেকের কথা, থানায় অভিযোগ করলেও প্রতিকার মিলে না।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 12, 2019

হিজড়াদেরকে টাকা দেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন!


বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিজড়াদের উপদ্রব বেড়ে গেছে। আবার একটি মহল তাদেরকে নিয়ে ব্যবসায় নেমেছে।
যাহোক, যেটা কথা সেটা হলো— আপনি যখন তাদেরকে ১০ টাকা দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিয়ে টাকা বের করবেন এবং টাকা বের করার পর যদি দেখা যায় আপনার কাছে ১০ টাকার নোটও আছে সেইসঙ্গে ১০০ টাকার নোটও আছে। সেই সুযোগেই তারা আপনাকে বলে বসবে, 'ভাই আমাকে ১০০ টাকার নোটটা দেন আমি ৯০ টাকা ফেরৎ দিচ্ছি, আমার কাছে খুচরা টাকা বেশি হয়েছে গেছে, নোট করে নিবো'।
ভুলেও তাদের এই কথায় ভুলে তাকে ১০০ টাকার নোট দিবেন না; দিলে আর তা ফেরৎ পাবেন না।
আপনি ওদেরকে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন; বলবেন যে, 'আচ্ছা ঠিক আছে, ৯০ টাকা আগে দেন আমি ১০০ টাকার নোট দিচ্ছি'।
দেখবেন ওরা দিবে না, বরং ওরা আপনার কাছে আগে ১০০ টাকার নোট চাইবে। তাই এই ভুল কাজ করবেন না।

-মেহেদী হাসান
প্রতিষ্ঠাতা, স্কুল অব এ্যাওয়ারনেস।

ভালো থাকুন | School of Awareness

ব্যাংক চেক লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা→


ব্যাংক চেক লেখার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। যেমন-

১. যেখানে Taka লেখা থাকবে এরপর "............." কিংবা "________" যেখান থেকে শুরু সেখান থেকেই লেখা শুরু করবেন, অর্থাৎ আপনার লেখার সামনে আর কিছু লেখার সুযোগ রাখবেন না। এমনকি আপনার লেখার মাঝেও অন্য কারো কিছু লেখার সুযোগ রাখবেন না।

২. বক্সের ভিতরে টাকার পরিমাণ অংকে লেখার সময় TK. যেখানে লেখা আছে এরপর সংখ্যা এমনভাবে লিখুন যাতে এর আগেও কিছু লেখা না যায়।

৩. টাকার পরিমাণ কথায় লেখার পর 'মাত্র' লিখুন এবং দাঁড়ি দিন, আর অংকে লেখার পর /- এই চিহ্নটি দিন, যেমন- ১০০০/-

উক্ত পোস্টের ফটোটি দেখলে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আর কমেন্টে চেক লেখার একটি আদর্শ নমুনার ফটো দেওয়া আছে।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 11, 2019

কার ভ্রমণে সতর্ক থাকুন, দেখুন ও নিরাপদ থাকুন এই অভিনব ফাঁদ থেকে!


চিত্রে দেখুন→
এটি একটি সচেতনতামূলক পোস্ট, বিশেষকরে যারা রাতে গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করেন তারা একটু সাবধানে গাড়ি চালাবেন কারণ অভিনব পদ্ধতিতে এভাবে রাস্তায় লোহার পেরেক দিয়ে গাড়ি আটকে সবকিছু লুট করা হচ্ছে। মানুষের জীবন এবং মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় এই পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করুন যাতে মানুষ সচেতন হয়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

রাতের বেলা বাইক চালাতে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকুন!


১. রাতের বেলা অপরিচিত কাউকে বাইকে লিফট দিবেন না বিশেষ করে কোনো মহিলাকে ভুলেও লিফট দিতে যাবেন না। তাহলে বাইক এবং প্রাণ দুইটাই খোয়াতে পারেন।
২. রাতের বেলা বাইক চুরির একটা মহাকৌশল হলো লুকিয়ে থেকে বাইকের গায়ে কিছু ছুড়ে মারা। এক্ষেত্রে বাইকের কি হয়েছে তা দেখার জন্য রাইডার বাইক থামায় এবং তখনই ছিনতাইকারীরা বাইক ছিনতাই করে।
৩. নির্জন জায়গায় বাইক চলন্ত অবস্থায় জোরে কোন শব্দ হলে ভুলেও কি হয়েছে তা দেখার জন্য থামবেন না এবং চেষ্টা করবেন মানুষজন আছে এমন কোনো জায়গায় থেমে বাইকের কি হয়েছে তা চেক করতে।
৪. রাতের বেলা ভ্রমণ করার সময় পথিমধ্যে ছোট বাজারগুলোতে না থামার চেষ্টা করবেন। কারণ এতে আপনি বাইক ছিনতাইয়ের সহজ টার্গেটে পরিনত হতে পারেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

অপরিচিত কাউকে বাইকে লিফট দিতে সতর্ক থাকুন!


পারসোনাল কাজে পল্টনের দিকে যাচ্ছিলাম, প্রচণ্ড জ্যামের কারণে ফার্মগেটে বসে ছিলাম প্রায় আধাঘণ্টা। এমন সময় এক লোক এসে বলল, "ভাই কোন দিকে যাবেন?" বললাম, "পল্টন যাচ্ছি"। 
"আমি পুলিশের লোক, আমাকে একটু সামনে নামায়া দেন, আমিও ওইদিকে যাবো।" পুলিশের পোশাক না থাকলেও চুলের কাটিং দেখে কিছুটা পুলিশ পুলিশ মনে হলো। স্বাভাবিকভাবেই বললাম, 'উঠেন'। জ্যাম ছাড়ার পর বাইক টান দিলাম। মোটামুটি জ্যামের মধ্যে টুকটুক করতে করতে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আসলাম। এই সময়ের মধ্যে আমি কি করি, কই থাকি, আয় রোজগার কেমন, দেশের পরিস্থিতি এই সব বিষয়ে নানান কথা সে জিজ্ঞেস করে ফেলে। সার্ক ফোয়ারা পার করার পর আমার হঠাৎ কিছুটা আনইজি লাগে। কারণ লোকটা দুইবার আমার কোমরে বেল্টের ওই জায়গায় দুইবার হাত দিয়েছে। বাংলামোটর আবার জ্যামে বসে সে আমাকে কয়েকবার বলল "ভাই অনেক জ্যাম, শাহবাগ দিয়া না যাইয়া শেরাটনের ভিআইপি দিয়া যান। বারবার বলাতে আমার আরও সন্দেহ বাড়ল। আমি একটা কারণ দেখাইয়া বললাম "ভাই আমি যাইতে পারবো না, আমার একটা জরুরি কাজ পইড়া গেছে। আপনি এখানেই নেমে যান।" একটু গাইগুঁই করার পর আমি প্রায় জোর করে তাকে আমার বাইক থেকে নামায় দেই। নামায়ে দিয়ে কিছুদূর গিয়ে ভিআইপি রোডের মাথায় গিয়ে বাইক থামিয়ে সর্বপ্রথম কোমরে হাত দেই। হাত দিয়ে আমি তো অবাক! দেখি বেল্ট এর চিপায় একটা ছোট কাগজের পোটলা। খুলে দেখি ভিতরে দুই দুইটা ইয়াবা। সাথে সাথেই সব পানির মত পরিষ্কার হয়ে গেল। দ্রুত নিজের সারা বডি চেক করলাম, বাইকের যত চিপাচাপা আছে সব চেক করলাম। নাহ, আর কিছু নাই। ইয়াবা দুইটা ফেলে আবার বাইক টান দিলাম। এবং যথারীতি সামনে একটা চেকপোস্ট। বাইক থামালো। কাগজপত্র না দেখতে চেয়ে বলল, "গাড়ি থেকে নামেন, চেক হবে"। মানসিকভাবে এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। শীতের কাপড় খুলে, জায়গা-বেজায়গা হাতাইয়া চেক করল, বাইক চেক করল। কিছুই না পেয়ে কিছু উল্টাপাল্টা প্রশ্ন শুরু করছিল, সুযোগ দেই নাই। পরিচিত কিছু পুলিশ ভাই ব্রাদার এর পরিচয় দিতেই বলল, "আপনি যান"।
তাদের নাম দেখার চেষ্টা করলাম, পারলাম না। কারোই নেমপ্লেট নাই। আল্লাহর অশেষ রহমতে বিশাল একটা ফাঁড়া থেকে বাঁচলাম। বাইকার ভাইরা সাবধানে থাকবেন, অপরিচিত কাউকে বাইকে লিফট দেয়ার আগে সাবধান। আমি আজকে বেঁচে গেছি, আপনি হয়তো ফাঁদে পা দিয়েও দিতে পারেন। দিলেই মান সম্মান, টাকা পয়সা সব যাবে।

বিঃ দ্রঃ আমি পাঠাও এর কোন গ্রুপ এ নাই, কোন পাঠাও ভাই পারলে পাঠাও এর গ্রুপগুলোতে শেয়ার করে দিন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness