Tuesday, February 12, 2019

হিজড়াদেরকে টাকা দেওয়ার সময় সতর্ক থাকুন!


বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে হিজড়াদের উপদ্রব বেড়ে গেছে। আবার একটি মহল তাদেরকে নিয়ে ব্যবসায় নেমেছে।
যাহোক, যেটা কথা সেটা হলো— আপনি যখন তাদেরকে ১০ টাকা দেওয়ার জন্য পকেটে হাত দিয়ে টাকা বের করবেন এবং টাকা বের করার পর যদি দেখা যায় আপনার কাছে ১০ টাকার নোটও আছে সেইসঙ্গে ১০০ টাকার নোটও আছে। সেই সুযোগেই তারা আপনাকে বলে বসবে, 'ভাই আমাকে ১০০ টাকার নোটটা দেন আমি ৯০ টাকা ফেরৎ দিচ্ছি, আমার কাছে খুচরা টাকা বেশি হয়েছে গেছে, নোট করে নিবো'।
ভুলেও তাদের এই কথায় ভুলে তাকে ১০০ টাকার নোট দিবেন না; দিলে আর তা ফেরৎ পাবেন না।
আপনি ওদেরকে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন; বলবেন যে, 'আচ্ছা ঠিক আছে, ৯০ টাকা আগে দেন আমি ১০০ টাকার নোট দিচ্ছি'।
দেখবেন ওরা দিবে না, বরং ওরা আপনার কাছে আগে ১০০ টাকার নোট চাইবে। তাই এই ভুল কাজ করবেন না।

-মেহেদী হাসান
প্রতিষ্ঠাতা, স্কুল অব এ্যাওয়ারনেস।

ভালো থাকুন | School of Awareness

ব্যাংক চেক লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা→


ব্যাংক চেক লেখার সময় কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়। যেমন-

১. যেখানে Taka লেখা থাকবে এরপর "............." কিংবা "________" যেখান থেকে শুরু সেখান থেকেই লেখা শুরু করবেন, অর্থাৎ আপনার লেখার সামনে আর কিছু লেখার সুযোগ রাখবেন না। এমনকি আপনার লেখার মাঝেও অন্য কারো কিছু লেখার সুযোগ রাখবেন না।

২. বক্সের ভিতরে টাকার পরিমাণ অংকে লেখার সময় TK. যেখানে লেখা আছে এরপর সংখ্যা এমনভাবে লিখুন যাতে এর আগেও কিছু লেখা না যায়।

৩. টাকার পরিমাণ কথায় লেখার পর 'মাত্র' লিখুন এবং দাঁড়ি দিন, আর অংকে লেখার পর /- এই চিহ্নটি দিন, যেমন- ১০০০/-

উক্ত পোস্টের ফটোটি দেখলে বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আর কমেন্টে চেক লেখার একটি আদর্শ নমুনার ফটো দেওয়া আছে।

ভালো থাকুন | School of Awareness

Monday, February 11, 2019

কার ভ্রমণে সতর্ক থাকুন, দেখুন ও নিরাপদ থাকুন এই অভিনব ফাঁদ থেকে!


চিত্রে দেখুন→
এটি একটি সচেতনতামূলক পোস্ট, বিশেষকরে যারা রাতে গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করেন তারা একটু সাবধানে গাড়ি চালাবেন কারণ অভিনব পদ্ধতিতে এভাবে রাস্তায় লোহার পেরেক দিয়ে গাড়ি আটকে সবকিছু লুট করা হচ্ছে। মানুষের জীবন এবং মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় এই পোস্টটি বেশি বেশি শেয়ার করুন যাতে মানুষ সচেতন হয়।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

রাতের বেলা বাইক চালাতে এসব বিষয়ে সতর্ক থাকুন!


১. রাতের বেলা অপরিচিত কাউকে বাইকে লিফট দিবেন না বিশেষ করে কোনো মহিলাকে ভুলেও লিফট দিতে যাবেন না। তাহলে বাইক এবং প্রাণ দুইটাই খোয়াতে পারেন।
২. রাতের বেলা বাইক চুরির একটা মহাকৌশল হলো লুকিয়ে থেকে বাইকের গায়ে কিছু ছুড়ে মারা। এক্ষেত্রে বাইকের কি হয়েছে তা দেখার জন্য রাইডার বাইক থামায় এবং তখনই ছিনতাইকারীরা বাইক ছিনতাই করে।
৩. নির্জন জায়গায় বাইক চলন্ত অবস্থায় জোরে কোন শব্দ হলে ভুলেও কি হয়েছে তা দেখার জন্য থামবেন না এবং চেষ্টা করবেন মানুষজন আছে এমন কোনো জায়গায় থেমে বাইকের কি হয়েছে তা চেক করতে।
৪. রাতের বেলা ভ্রমণ করার সময় পথিমধ্যে ছোট বাজারগুলোতে না থামার চেষ্টা করবেন। কারণ এতে আপনি বাইক ছিনতাইয়ের সহজ টার্গেটে পরিনত হতে পারেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

অপরিচিত কাউকে বাইকে লিফট দিতে সতর্ক থাকুন!


পারসোনাল কাজে পল্টনের দিকে যাচ্ছিলাম, প্রচণ্ড জ্যামের কারণে ফার্মগেটে বসে ছিলাম প্রায় আধাঘণ্টা। এমন সময় এক লোক এসে বলল, "ভাই কোন দিকে যাবেন?" বললাম, "পল্টন যাচ্ছি"। 
"আমি পুলিশের লোক, আমাকে একটু সামনে নামায়া দেন, আমিও ওইদিকে যাবো।" পুলিশের পোশাক না থাকলেও চুলের কাটিং দেখে কিছুটা পুলিশ পুলিশ মনে হলো। স্বাভাবিকভাবেই বললাম, 'উঠেন'। জ্যাম ছাড়ার পর বাইক টান দিলাম। মোটামুটি জ্যামের মধ্যে টুকটুক করতে করতে কারওয়ান বাজার পর্যন্ত আসলাম। এই সময়ের মধ্যে আমি কি করি, কই থাকি, আয় রোজগার কেমন, দেশের পরিস্থিতি এই সব বিষয়ে নানান কথা সে জিজ্ঞেস করে ফেলে। সার্ক ফোয়ারা পার করার পর আমার হঠাৎ কিছুটা আনইজি লাগে। কারণ লোকটা দুইবার আমার কোমরে বেল্টের ওই জায়গায় দুইবার হাত দিয়েছে। বাংলামোটর আবার জ্যামে বসে সে আমাকে কয়েকবার বলল "ভাই অনেক জ্যাম, শাহবাগ দিয়া না যাইয়া শেরাটনের ভিআইপি দিয়া যান। বারবার বলাতে আমার আরও সন্দেহ বাড়ল। আমি একটা কারণ দেখাইয়া বললাম "ভাই আমি যাইতে পারবো না, আমার একটা জরুরি কাজ পইড়া গেছে। আপনি এখানেই নেমে যান।" একটু গাইগুঁই করার পর আমি প্রায় জোর করে তাকে আমার বাইক থেকে নামায় দেই। নামায়ে দিয়ে কিছুদূর গিয়ে ভিআইপি রোডের মাথায় গিয়ে বাইক থামিয়ে সর্বপ্রথম কোমরে হাত দেই। হাত দিয়ে আমি তো অবাক! দেখি বেল্ট এর চিপায় একটা ছোট কাগজের পোটলা। খুলে দেখি ভিতরে দুই দুইটা ইয়াবা। সাথে সাথেই সব পানির মত পরিষ্কার হয়ে গেল। দ্রুত নিজের সারা বডি চেক করলাম, বাইকের যত চিপাচাপা আছে সব চেক করলাম। নাহ, আর কিছু নাই। ইয়াবা দুইটা ফেলে আবার বাইক টান দিলাম। এবং যথারীতি সামনে একটা চেকপোস্ট। বাইক থামালো। কাগজপত্র না দেখতে চেয়ে বলল, "গাড়ি থেকে নামেন, চেক হবে"। মানসিকভাবে এর জন্য প্রস্তুত ছিলাম। শীতের কাপড় খুলে, জায়গা-বেজায়গা হাতাইয়া চেক করল, বাইক চেক করল। কিছুই না পেয়ে কিছু উল্টাপাল্টা প্রশ্ন শুরু করছিল, সুযোগ দেই নাই। পরিচিত কিছু পুলিশ ভাই ব্রাদার এর পরিচয় দিতেই বলল, "আপনি যান"।
তাদের নাম দেখার চেষ্টা করলাম, পারলাম না। কারোই নেমপ্লেট নাই। আল্লাহর অশেষ রহমতে বিশাল একটা ফাঁড়া থেকে বাঁচলাম। বাইকার ভাইরা সাবধানে থাকবেন, অপরিচিত কাউকে বাইকে লিফট দেয়ার আগে সাবধান। আমি আজকে বেঁচে গেছি, আপনি হয়তো ফাঁদে পা দিয়েও দিতে পারেন। দিলেই মান সম্মান, টাকা পয়সা সব যাবে।

বিঃ দ্রঃ আমি পাঠাও এর কোন গ্রুপ এ নাই, কোন পাঠাও ভাই পারলে পাঠাও এর গ্রুপগুলোতে শেয়ার করে দিন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

ঢাকা শহরে চলাফেরায় সতর্ক থাকুন!


ঢাকায় থাকেন বা নতুন এসেছেন বা চাকরির পরীক্ষা দিতে ঢাকায় যাবেন? তাদের একবার পড়ে নেওয়া খুব জরুরী; 'হাউ টু সারভাইভ ইন ঢাকা সিটি?'
সবাইকে নিরাপদ অবস্থানে দেখতে এই টিপসগুলোর দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক দিন ধরে অনুভব করছিলাম→

১. ঢাকাতে কখনও বাসে জানালার পাশে বসে মোবাইল টিপবেন না। কখন নিয়ে যাবে তা টের পাবেন না। শুধু বাস না, কার, রিকশা কিছুই নিরাপদ না। সিএনজির ছাদ কেটেও মোবাইল নিয়ে নেয়। মোবাইল পকেটে নিরাপদ। নাকে বা কানে সোনার অলঙ্কারও নিরাপদ না।
২. রিকশাতে কোলে ব্যাগ? টান দিবে, ধরতে গিয়ে আপনি রাস্তায় পড়বেন, এবং আপনাকে রাস্তায় আছড়ে অনেক দূর টেনে নিয়ে যাবে, তাতে সিরিয়াস হেড অ্যান্ড স্পাইনাল কর্ড ইনজুরির সম্ভাবনা থাকে। ব্যাকপ্যাক ব্যাবহার করুন। বা ব্যাগ পায়ের ফাকে রাখুন। মাঝে মাঝে ধরে রাখলেই ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি।
৩. রাস্তায় কিছু খাবেন না। আই মিন কিছুই না। দূরপাল্লার জার্নি, পাশের যাত্রী কিছু দিলে খান না, তাতে কি? হয়তো যে পানি বা ডাব কিনলেন, বা অন্যকিছু তাতেই থাকতে পারে ঔষধ মেশানো। প্রতারকরা অনেক চালাক এখন।
৪. ট্রেন জার্নিতে দরজার পাশে, দুই বগির পাশে টাইম নিবেন না, কিংবা যতোই ভালো লাগুক দরজায় দাঁড়িয়ে বিড়ি টানবেন না। ট্রেনের ছাদে চলাচল যতোই রোমান্টিক লাগুক, যে গ্যাংগুলো ছিনতাই করে, তারা রুথলেস। অনেক লাশ পাওয়া যায় ট্রেন লাইনে, ম্যাক্সিমাম বেওয়ারিশ দাফন হয়।
৫. ছিনতাইকারী বেশ কয়েকজন। আপনি ঘেরাও। পকেটে দামী ফোন। আমার মতে ফোনের মায়া ত্যাগ করা ভালো, কারণ যারা ছিনতাইকারী তারা যথেস্ট ডেসপারেট। যদি পালিয়ে যেতে পারেন ইউ আর টু লাকি। বাট ফোনের দাম আপনার জীবনের দামের চেয়ে বেশি না, ট্রাস্ট মি।
৬. বান্ধবী বা মেয়ে বন্ধু, রেস্টুরেন্ট বা পার্ক। হঠাৎ একদল ছেলে, একটা গ্যাং। আজে বাজে কথা বলছে, বাজে ইংগিত দিচ্ছে। ওরা কাইন্ড অফ চাইছে আপনি ঝামেলায় জড়ান। আপনারও রক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে, গার্লফ্রেন্ডের সামনে এরকম অপমান? জাস্ট এড়িয়ে যান, এ রকম সিচুয়েশনে আপনার সেলফ এস্টিমে যতোই লাগুক, কনফ্লিক্ট লস প্রজেক্ট। দুজন থাকলেও কথা, দুয়ের অধিক হলেই ঝামেলা লস প্রজেক্ট। আর নির্জন জায়গা হলে আরো আগে সরে যান।
৭. ভোররাতে ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। ভয়ানক রিস্কি ঢাকার রাস্তা। পারলে বাসস্টপে বা ট্রেন স্টেশনে অপেক্ষা করুন সকালের যখন রাস্তায় যথেস্ট মানুষ থাকবে। এ সময় ছিনতাইকারীরা একটিভ থাকে। টেকনোলজিকালি এডভান্স হলে, উবার ডাকুন।
৮. ট্রেন স্টেশনে বা সদরঘাটে ভারী জিনিস নিয়ে আসছেন তো মরেছেন। আপনার কাছ থেকে চাঁদার মতো ৪০০-৫০০ টাকা খসিয়ে ছাড়বে। সাবধানে থাকুন।
৯. নিউমার্কেটের মতো মার্কেটগুলোতে বা নীলক্ষেতে কাউকে নিয়ে শপিং এ গেছেন, দাম জিজ্ঞাসা করছেন। কিন্তু যদি উনি বলে আপনি দাম বলেন, আপনি না নিতে চাইলেও দাম বলার জন্য জোরাজুরি করবে। মেজাজ দেখিয়ে লাভ নাই, এরা একটা গ্যাং, সাথে মেয়ে মানুষ দেখবে তো আরো বেশি ঝামেলা করবে। দাম বলুন একটা দরকার হলে অনেক কম করে বলুন। আপনার ক্লাস নিয়ে কমেন্ট করবে, যতোই অপমানিত লাগুক সরে যান। এখানে ঝামেলা লস প্রজেক্ট।
১০. বাসে পিছনের পকেটে ওয়ালেট বা সামনের পকেটে মোবাইল সেফ না। সাথে ব্যাগ থাকলে ব্যাগের ভিতর ফোন আর বাড়তি টাকা রেখে দিন। বাট আপনার ব্যাগ ও কিন্তু সেফ না, সেটাকেও দেখে রাখেন।
১১. চিড়িয়াখানায় গিয়ে কিচ্ছু খাবেন না। সিংগাড়া খাইয়ে ৮০০/৯০০টাকা খসায় নিবে। একই ব্যাপার বানিজ্যমেলায় বিরিয়ানী বা নাস্তার জন্য প্রযোজ্য কিংবা হাইওয়ে সাইড হোটেলে। ফ্যামিলি নিয়ে খাইসেন তো বিপদে পড়ছেন। অন্যান্য জায়গায়, যেমন শিশুপার্ক, চন্দ্রিমা উদ্যান এগুলাতে দাম জিজ্ঞাসা না করে একটা ফুচকাও খাবেন না। ফুচকার দাম ১০০/১৫০ বললে কিছু করার থাকে না। খাবার আগে দাম জিজ্ঞাসা করুন, এটা খুবই ভালো একটা অভ্যাস।
১২. রাতে ঘোরাঘুরি খুবই রিস্কি। সেটা এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কিছু কমন অপরাধ স্পট আছে। এখন আর কোনো কমন কিছু নাই, সব জায়গাই রিস্কি। চোখ কান খোলা রাখুন।
১৩. বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছেন, হঠাৎ একটা মাইক্রো এসে থামলো, বা সেটা একটা কার ও হতে পারে। 'ট্রিপ' নিচ্ছে। উঠবেন না। মেয়ে হলে আরো আগে না; যতোই আরামের ভ্রমণের নিশ্চয়তা দিক, হতে পারেন ছিনতাই, ধর্ষণ বা কিডন্যাপিংয়ের শিকার। রাতের বেলা পাবলিক ট্রান্সপোর্টের উপর সেফ কিছু নাই।
১৪. রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ ভদ্রবেশী কেউ এসে, সে হতে পারে ছেলে বা মেয়ে, আপনার ফোন চাইলো, উনার কোন সমস্যা হয়তো, একটা ফোন দিবে কাউকে। ফোনটা দিলেন, দেখলেন লোকটা বাইকে উঠে হাওয়া! জ্বী, এমনও হয়।
১৫. হয়তো বন্ধু বান্ধবের আবদার, পার্টি। গিয়েছেন বুজ কিনতে কোনো বারে। বারের সামনেই সাদা পোশাকে পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে, বুজ যাবে, টাকা যাবে, ইজ্জতও যাবে।
১৬. সাথে সবসময় আইডেন্টিফিকেশন ডকুমেন্ট রাখুন। কাজে দেয়। হয়তো অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন, তখনও কাজে দেয়।
১৭. হাটছেন, হঠাৎ অপরিচিত কেউ পিছন থেকে ডাকছে। আপনি যদি হেটে নিরাপদ দূরত্বে যেতে পারেন চলে যান। কারণ উনি আপনাকে আটকাবে, গ্যাং আসবে, দ্যান আপনি ছিনতাইয়ের শিকার। একই ব্যাপার ধাক্কা লাগিয়ে করবে। জাস্ট হেটে চলে যান।
১৮. বড় অংকের নগদ টাকা ট্রান্সফার করবেন না। রিস্কি, এরা যে কোথায় নাই, ইউ উইল ওয়ান্ডার।
সবচেয়ে বড় কথা, সবসময় সতর্ক থাকুন, চোখ কান খোলা রাখুন, নিজের ইন্সটিক্টকে বিলিভ করুন। স্টে সেফ।
লেখা: দেবাশিষ দত্ত।

ভালো থাকুন | School of Awareness

বিকাশ সার্ভিসে আবারও সক্রিয় হয়েছে হ্যাকাররা, জেনে নিন ও সতর্ক থাকুন!


রাত ১১.৩৪ এ হঠাৎ করে +১৬২৪৭ (বিকাশ হেল্পলাইন) থেকে ফোন আসে। কেবলমাত্র ঘুমিয়েছি। ঘুম ঘুম চোখে ফোনটা কেটে দিলাম। পরে আবার ফোন দিলো। রিসিভ করে সালাম দিলাম। 
একজন দক্ষ কাস্টমার কেয়ার অপারেটর এর মত সালাম দিলো। বলছে, স্যার আপনার ফোনে গত মাসের ১৪ তারিখে BTRC থেকে ম্যাসেজ করা হয়েছিলো যে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট হালনাগাদের লক্ষ্যে আপনার ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করুন। রিপ্লাই ম্যাসেজে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার ও অ্যাকাউন্ট এর তথ্য সেন্ড করতে বলা হয়েছে আপনি করেন নাই।
না হলে আপনার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই ঘাবড়ে গেলাম। আমার অ্যাকাউন্টে তখন ১১০০০+ টাকা। মনে মনে চিন্তা করলাম ১১০০০ টাকা আটকে যাচ্ছে। বিষয়টা কেমন হয়?
আমাকে হতবাক করে দিয়ে অপর দিক থেকে সে বলল, স্যার আপনার লাস্ট ট্রানজেকশন ৫১০০ টাকা।
মোট ১১০০০ টাকা আছে!
(এই কথা শোনার পর কার না বিশ্বাস জন্মে কে সে আমার বিকাশ অ্যাকাউন্ট এর খবর জানে অবশ্যই সে রিয়াল)
বলে, যদি আপনি এখন তথ্য প্রদান না করেন তাহলে আপনার টাকাসহ অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। 
বড় বিপদে পড়ে গেলাম।
মনে মনে বললাম টাকা তো যাবে না জাস্ট অ্যাকাউন্টটা বন্ধ হবে। পরে হালনাগাদ করে নিবো। আমি অপর দিকে লোকটাকে বললাম, দেখুন ভাই আমার অ্যাকাউন্ট তো আমার বাবার আইডি কার্ড এর তথ্য দিয়া অ্যাকাউন্টটা খুলেছি আমি আজকে দিতে পারবো না। 
কথাটা শুনে অপর দিকে থাকা লোকটা দীর্ঘ নিশ্বাস ছেড়ে বলে তাহলে আপনার অ্যাকাউন্টটা ডি-অ্যাক্টিভ করে দিলাম। 
সাথে আবার একটু থ্রেড টাইপের কথা বলে, আপনি জানেন না বিকাশ হেল্পলাইনের নাম্বার এইটা ফোন কেটে দেন কেন?
বললাম, ভাই রাত সাড়ে ১১ টায় কোনো কাস্টমার কেয়ার থেকে ফোন কল! কেমন অদ্ভুত বিষয় না?
সে আমাকে ডাটিয়ে বলছে, প্রয়োজনে যেকোনো সময় ফোন করবে।
আমি ওকে বলে ফোনটা কেটে দিলাম।
১০ মিনিট পর চেক করতে গেলাম যে অ্যাকাউন্টটা সত্যি কি বন্ধ করে দিলো।
নিজের ফোনে ১০ টাকা বাই এয়ারটাইম করলাম। 
দেখলাম সাথে সাথে টাকা মোবাইলে আসলো। পরে ১৬২৪৭ এ কল দিলাম। দিয়ে সব ঘটনা খুলে বললাম।
তারপর তারা যা বলল তা সবকিছুই আমার জানা। একটি সংঘবদ্ধ চক্র নাম্বার ক্লোনের মাধ্যমে স্ক্যাম করছে এবং আপনার অ্যাকাউন্ট এর সব টাকা তারা হাতিয়ে নিচ্ছে আপনার অজান্তেই।
অবাক হয়ে ভাবতে থাকি আমি এইসব জিনিস জানার পরেও আমাকে প্রায় হেপ্রটাইস করে ফেলেছিল।
তাহলে যারা জানে না তাদের কি অবস্থা হয়?
তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিতে চাই:
১. বিকাশ কখনই কোনো তথ্য/অফার/নোটিশ ফোনকল অথবা ম্যাসেজের মাধ্যমে কোনো বিকাশ গ্রাহক/এজেন্ট কে পাঠায় না। যদি কিছু করতেই হয় তবে পেপার পত্রিকা/ কোনো বড় ধরনের টিভি এ্যাডভারটাইসমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবে।
২. যদি আপনার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হয় তাহলে কোনো ওয়ার্নিং ছাড়াই বন্ধ করে দিবে আপনাকে ফোনকলে নোটিশ দিয়ে বন্ধ করবে না।
৩. যদি আপনি বিকাশ এজেন্ট হন তাহলে মনে রাখবেন বিকাশ কখনই ফোনকল অথবা ম্যাসেজে আপনাকে কিছু দিবে না অথবা নিবে না। যা করবে তা সব সরাসরি সামনা সামনি করবে।
৪. সব কথার এক কথা ফোন করে/ ম্যাসেজে আপনার অ্যাকাউন্ট এর কিছু জানতে চাওয়া অথবা কোন কিছু ডায়েল করতে বললে নিঃদ্বিধায় একবাক্যে ১০০% কনফার্ম হবে যে সে প্রতারক। ডিজিটাল সুযোগ সুবিধার ফলাফল ভোগ করুন। কিন্তু একটু সাবধান থাকবেন। তাহলে সব ঠিক থাকবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

জেনে নিন, লিফট ছিঁড়ে গেলে বাঁচার উপায় কী!


দুর্ঘটনার হাত থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ নয় কেউ। লিফট দুর্ঘটনার কথা বলা যেতে পারে। লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যাওয়ার মতো ভয়ংকর দুর্ঘটনার ঘটতে পারে যে কোনো সময়। যদিও লিফট ছিঁড়ে যাওয়ার ঘটনা খুব বেশি ঘটে না, কিন্তু একেবারেই যে ঘটে না বা ঘটবে না তা কিন্তু নয়। তাই জেনে রাখা ভালো, লিফট ছিঁড়ে নিচে পড়ে যেতে থাকলে কীভাবে বাঁচাবেন নিজেকে।

১. লাফ দেবেন না:
প্রথমত, আপনি যখন ফ্রি স্টাইলে নিচে পড়ে যেতে থাকবেন, তখন লাফ দেওয়ার চেষ্টা করাটা খুবই কঠিন। দ্বিতীয়ত, লাফালাফি করলে লিফট আরো বেশি গতিতে আছড়ে পড়বে। তৃতীয়ত, আপনার শরীরের কোন অংশ পতিত হবে তা এর মাধ্যমে আগেভাগে নির্ধারণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। বরং লাফের কারণে আপনি মাথায় আঘাত পেতে পারেন এবং খুব খারাপভাবে আপনার শরীর আছড়ে পড়তে পারে।

২. সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকবেন না:
সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকাটা খুব ভালো ধারণা নয়। কারণ পতনের সময় শরীরের ওজনের ১০ গুণ ওজন এসে ভর করে পায়ে। যা খুবই গুরুতর জখম হওয়ার কারণ হতে পারে।

৩. সবচেয়ে নিরাপদ কৌশল:
মাস্যাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের গবেষক ইলিয়ট এইচ ফ্রাঙ্কের মতে, লিফট যখন পড়ে যেতে থাকবে তখন যত দ্রুত সম্ভব চিৎ হয়ে দুই হাত ও পা ছড়িয়ে লিফটের মেঝেতে শুয়ে পড়া একমাত্র নিরাপদ কৌশল। এতে আপনার শরীরের সেরা অংশগুলোতে শক্তি ছড়িয়ে পড়বে। এবং এর ফলে শরীরের কোনো নির্দিষ্ট অংশে অন্য কোনো অংশের তুলনায় বেশি ওজন বিরাজ করবে না। নিচে পড়ার আঘাত শরীরের সব অংশে সমানভাবে ছড়ে যাবে বলে ভারসাম্য রক্ষা করে শরীরের নির্দিষ্ট কোনো অংশে কম আঘাত লাগবে। তবে সত্যিকার অর্থে এটা বাঁচার একটা চেষ্টা করা মাত্র, জখম তো হতেই পারে, তবে গুরুতর জখম থেকে রক্ষা পাওয়ার সেরা একটা চেষ্টা হচ্ছে এই কৌশল অবলম্বন করা।

৪. লিফটে বেশি মানুষ থাকলে করণীয়:
এ পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ভালো যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে, লিফটের মেঝেতে বসে পড়া। আপনি দাঁড়িয়ে থাকলে অস্থিতে যে পরিমাণ চাপ পড়তো তার তুলনায় অস্থিতে কম চাপ পড়বে এ পজিশনে। যদি বসে পড়ার মতো জায়গা না থাকে, তাহলে অন্তত চেষ্টা করুন হাঁটু বাঁকা করে রাখতে, এটিও পায়ের বল কমাতে কিছুটা সাহায্য করবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Sunday, February 10, 2019

চলার পথে বিভিন্ন সমস্যায় সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসতে পারে ৯৯৯!


ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি পুলিশি সেবা পেতে জাতীয় হেল্প ডেস্ক হিসেবে ‘৯৯৯’ নম্বরটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে।

টোল ফ্রি হিসেবে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নাগরিকেরা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবা নিতে পারবেন। এজন্য গ্রাহকের কোনো রকম খরচ লাগবে না। কোনো অপরাধ ঘটতে দেখলে, প্রাণনাশের আশঙ্কা দেখা দিলে, কোনো হতাহতের ঘটনা চোখে পড়লে, দুর্ঘটনায় পড়লে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে, জরুরিভাবে অ্যাম্বুলেন্সের প্রয়োজন হলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সাহায্য চাওয়া যাবে। মোবাইল ফোন ও টেলিফোন উভয় মাধ্যমে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করা যাবে।

আপনি একজন নারী? পিছনে কেউ লেগেছে? ডায়াল করুন ৯৯৯ তে।
দেখলেন, কেউ অন্ধকার জায়গায় সংঘবদ্ধভাবে বাজে কিছু করার পাঁয়তারা করছে; স্রেফ ৯৯৯ ডায়াল করবেন।
হঠাৎ অসুস্থ হলে মাথা এলোমেলো হয়ে যায়। ৯৯৯ডায়াল করুন, দ্রুত এম্বুলেন্স পৌঁছে যাবে।
ভালো কথা,বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বাতায়ন নাম্বারটা আছে তো? বিশ্বাসযোগ্য লাগছেনা? আমি নিজেই আমার বিভিন্ন চিকিৎসার প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বাতায়নের হেল্প লাইনে কল করে তাদের ট্রিটমেন্ট নিয়েছি এবং আমি ১০০% সন্তুষ্ট। এখন আপনি সেবা না নিলেতো তাদের দোষ নাই, তাইনা?

৯৯৯ আমাদের ইমার্জেন্সি নাম্বার। একবারে ১২০টা ফোনকল রিসিভ ও সমাধান দিতে পারার সক্ষমতা রয়েছে প্রজেক্টে। যেকোনো ইমার্জেন্সি প্রয়োজনে শুধুমাত্র ৯৯৯ ডায়াল করলেই নির্দেশনা অনুযায়ী সেবা পাওয়া যাবে।

ফ্রি তাইনা? মজা করবেন?
করুন। যেকোনো একজন কল দেয়া মাত্রই অটোমেটিক একটা ফাইল তৈরি হয়ে যাবে। নেক্সট টাইম যখন সত্যিসত্যি বিপদে পড়ে কল দিবেন, তখন আর পাবেন না তাদের। বাঘের খেলা তাই না দেখালেই ভালো হবে।

সবাইকে ধন্যবাদ। দেরিতে হলেও ইমার্জেন্সি সেবা চালু হয়েছে, তাতেই আমি খুশি। এখন ম্যানেজমেন্ট ঠিকমত হলেই নতুন যুগে প্রবেশ করতে পারবো আমরা।

এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে পারবেন কমেন্টে দেওয়া লিংকগুলোতে ভিজিট করলে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Saturday, February 9, 2019

ঢাকার ভয়ঙ্কর তিন কিলোমিটার রাস্তা!


ঢাকায় বিমানবন্দর সড়কের খিলক্ষেত থানা থেকে বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ি পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কারণে এই এলাকা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা থাকে সার্বক্ষণিক। কিন্তু এই ‘নিরাপত্তা বলয়ের’ মধ্যে সক্রিয় আছে আরেকটি ‘বাহিনী’। এই ‘ছিনতাই বাহিনী’র মূল লক্ষ্য বাইসাইকেল চালকেরা।

ভুক্তভোগী সাইকেল চালকেরা জানান, সন্ধ্যার পর ব্যস্ত এই সড়কে ঘটে ছিনতাইয়ের ঘটনা। তবে খিলক্ষেত বা বিমানবন্দর থানা কখনো ছিনতাইয়ের মামলা নিতে রাজি হয় না। কোনো ভুক্তভোগী সুনাগরিক হিসেবে থানায় গিয়ে হাজির হলে তাঁদের করতে হয় মালামাল খোয়ানোর জিডি। ছিনতাইয়ের পাশাপাশি রক্তাক্ত হামলার শিকার হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অন্তত দুজন ভুক্তভোগী।

তবে পুলিশ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তবে তাদের বক্তব্যে দুই থানার ঠেলাঠেলির বিষয়ও বেরিয়ে এসেছে।

বিমানবন্দরের সামনে দিয়ে যাওয়া ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কটি মূলত গুলশান, বনানী ও মহাখালী এলাকার সঙ্গে উত্তরাকে যুক্ত করেছে। উত্তরা এবং এর আশপাশের এলাকার বাইসাইকেল চালকদের এ সড়ক ধরেই যাতায়াত করতে হয়। ছয় লেনবিশিষ্ট এই সড়কে সব সময় গাড়ি চলে দ্রুতগতিতে। অপেক্ষাকৃত কম গতির সাইকেল চালকেরা এমনিতেই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন। এর সঙ্গে ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য যুক্ত হওয়ায় সন্ধ্যার পর অনেকেই ওই সড়ক দিয়ে সাইকেল চালানো কমিয়ে দিয়েছেন।

ছিনতাইয়ের শিকার সাইকেল চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার পর পিঠে ব্যাগ বহনকারী চালকদের ওপরই মূলত ছিনতাইকারীরা হামলা চালায়। সংখ্যায় এরা সর্বোচ্চ ছয়জন পর্যন্ত থাকে।

গত ২২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে ওই এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ইউসুফ যুবায়ের। তিনি বলেন, অফিস শেষে প্রতিদিনকার মতো তিনি বাইসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলেন। হোটেল লা মেরিডিয়ান পার হওয়ার পরপরই ফুটপাতে দাঁড়ানো একটা ছেলে ‘ও ভাই কই যান’ বলে ফুটপাত থেকে লাফ দিয়ে তাঁর সাইকেলের সামনে এসে দাঁড়ায়। আরেকজন লাফ দেয় ঠিক তার ওপর। দুজনই মাটিতে পড়ে যায়। তখন তৃতীয় আরেকজন এসে তার গলায় ছুরি ধরে বলে, ‘যা আছে দিয়া দেন, কোনো ঝামেলার চেষ্টা কইরেন না।’ আরেকজন বলে, ‘ওর ব্যাগেই সবকিছু, নিয়ে নে।’

যুবায়ের বলেন, সাইক্লিস্টদের জার্সির পিঠের দিকে তিনটি পকেট থাকে। মুঠোফোনসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার কাজে পকেটগুলো ব্যবহার করেন তাঁরা। সাধারণ মানুষদের বিষয়টি জানার কথা না। কিন্তু ওই ছিনতাইকারীরা ছিল অভিজ্ঞ। কাঁধের ব্যাগ নেওয়ার পর সরাসরি পিঠের ওই পকেটে হাত ঢুকিয়ে তাঁর মুঠোফোনটি নিয়ে নেয়। এরপর তারা দেয়াল টপকে বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে পড়ে। ঘটনার পরদিন খিলক্ষেত থানায় মামলা করতে গেলে ডিউটি অফিসার মামলা নেননি। হারানো জিনিসপত্রের সাধারণ ডায়েরি নিয়েছেন শুধু।

টঙ্গী থেকে খিলক্ষেত ফেরার পথে গত ফেব্রুয়ারিতে লা মেরিডিয়ানের উল্টো পাশে ছিনতাইয়ের শিকার হন নুমান খান নামের একজন ছাত্র। ছিনতাইকারীরা তাঁর গলায় ছুরি ধরে ব্যাগে থাকা ল্যাপটপ, ক্যামেরা ও কাগজপত্র নিয়ে যায়। তারা ইট দিয়ে তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুর ওপরের অংশ থেঁতলে দেয়। নুমান খান প্রথম আলোকে বলেন, আধা ঘণ্টার মতো ফুটপাতের ওপর তিনি পড়ে ছিলেন। রাস্তা দিয়ে গাড়ি যাচ্ছিল, অনেকে জানালা দিয়ে তাকিয়েও দেখছিলেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। এরপর আরেকজন বাইসাইকেলচালক ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করেন।

একই জায়গায় গত রমজান মাসে ইফতার শেষে ফেরার পথে ছিনতাইয়ের শিকার হন কাব্য নুরুল মোমেন নামের আরেক বাইসাইকেলচালক।

ছিনতাইকারীদের বাঁশের আঘাতে দাঁত পড়ে গেছে আরেক সাইকেলচালক মো. এনামুল হকের। গত ১২ মার্চ খিলক্ষেত থানা থেকে কয়েক শ গজ দূরে লোটাস কামাল টাওয়ারের সামনে ছিনতাইয়ের শিকার হন বিমানবন্দরের এই সিএনএফ এজেন্ট। এনামুল বলেন, নিকুঞ্জ থেকে তিনি উত্তরার দিকে যাচ্ছিলেন। ছিনতাইকারীরা প্রথমে তাঁকে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর ইট দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করতে থাকে। তাঁর তিনটা দাঁত নড়ে যায় এবং একটা দাঁত পড়ে যায়।

সাইকেলচালকদের সংগঠন বিডি সাইক্লিস্টের একটি গ্রুপ আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এই পেজে তাঁরা নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। বিমানবন্দর সড়কে বারবার ছিনতাইয়ের ঘটনাও সেখানে ভুক্তভোগী সাইকেলচালকেরা বিভিন্ন সময়ে তুলে ধরেছেন। ওই সড়ক দিয়ে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার জন্যও বলেছেন অন্যদের।

পুলিশের কাছ থেকে প্রতিকার না পেয়ে বাইসাইকেলচালকদের কেউ কেউ আবার নিজেরাই নিজেদের নিরাপত্তার উদ্যোগ নিয়েছেন। পাল্টা আঘাতে ছিনতাইকারীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তৌসিফ বিন মোহাম্মদ নামে এক ইতালিপ্রবাসী সাইকেলে যাওয়ার পথে দুজন ছিনতাইকারীর আক্রমণের শিকার হন। তিনি আগে থেকেই হাতে রাখা তালা দিয়ে আঘাত করলে এক ছিনতাইকারী ঘায়েল হয় এবং পালিয়ে যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, খিলক্ষেত থানা থেকে বিমানবন্দর পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যবর্তী তিন কিলোমিটার এলাকায় আরও দুটি পুলিশ বক্স আছে। মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরে আছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কার্যালয়। খিলক্ষেত থানা থেকে পাঁচ তারকা হোটেল লা মেরিডিয়ান পর্যন্ত মহাসড়কের পাশ দিয়ে একটি পার্শ্ব রাস্তাও আছে। মাঝখানে ফুটপাতের ওপর গাছগাছালি। সন্ধ্যার পর জায়গাটিতে আলোর স্বল্পতা দেখা দেয়। আর লা মেরিডিয়ানের পরপরই শুরু হয়েছে বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকার দেয়াল। দেয়ালের ভেতর দিয়ে একটি পার্শ্ব সড়ক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি ও ভিআইপি টার্মিনালের গেট পর্যন্ত গেছে। জায়গাটি একেবারেই নির্জন। জলাশয়ও রয়েছে বেশ কয়েকটি।

গত রোববার আবুল বাহার নামের সেখানকার একটি নার্সারির কর্মচারী বলেন, ‘প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনার কথা শুনি।’ এত নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে ঘটনাগুলো ঘটে, তা নিয়ে তাঁরাও মাঝেমধ্যে আলোচনা করেন বলে জানান তিনি।

থানায় যাওয়া ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, জায়গাটি খিলক্ষেত ও বিমানবন্দর থানার মধ্যে পড়ায় কিছু ঘটলে কোনো থানাই দায়িত্ব নিতে চায় না। দুই থানাই বলে, ঘটনাস্থল তাদের থানার মধ্যে পড়ে না।

তবে সাইকেলচালকদের অভিযোগ মানতে নারাজ খিলক্ষেত থানার ওসি শহিদুল হক। তাঁর বক্তব্য, ‘দু-একটি ঘটনা ঘটে, তবে তা আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নয়।’ তাঁর দাবি, অধিকাংশ ঘটনাই বিমানবন্দর থানা এলাকার মধ্যে ঘটে। তাঁর থানা এলাকায় দু-একটি ঘটনা ঘটে থাকলেও পুলিশের নিয়মিত টহলের কারণে তা কমে এসেছে। মামলা না নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, আইনি জটিলতার ভয়ে ভুক্তভোগীরাই মামলা করতে চান না।

আর বিমানবন্দর থানার ওসি নূরে আজম সোজা জবাব দিয়ে দিলেন, ‘আমার থানা এলাকায় এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’ ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, জিনিসপত্র খোয়ানোর যে জিডি তাঁদের দিয়ে করানো হয়েছে, তার কোনো অগ্রগতিও তাঁদের জানানো হয়নি। মোবাইলসহ মালামাল উদ্ধারে কোনো উদ্যোগ তাঁরা থানার কাছ থেকে পাননি।

বিডি সাইক্লিস্টের মডারেটর ফুয়াদ আহসান চৌধুরী বলেন, ‘ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেশ কয়েকজন সাইকেলচালক আহত হওয়ায় কয়েক মাস আগে পুলিশের গুলশান বিভাগের উপকমিশনার এবং অতিরিক্ত উপকমিশনারের সঙ্গে আমরা দেখা করেছিলাম। তাঁরা খিলক্ষেত থানার ওসির সঙ্গে কথা বলে এই এলাকায় টহল বাড়িয়েছিলেন। তখন কিছুদিন পরিস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু আবারও আমরা সাইকেলচালকদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ পাচ্ছি'।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

ATM বুথ- এ সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি হলে করনীয়!

এভাবে ATM বুথ- এ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা পেতে পারেন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

মোবাইল হারালে বা চুরি হলে করনীয় কী?


মোবাইলে ফেসবুক লগইন করা থাকলে মোবাইল চুরি হবার সাথে সাথে ফেসবুক পাসওয়ার্ড পালটিয়ে আইডি ডিএ্যাকটিভ করে এ্যাকটিভ করুন।

এখানে সাধারণ করনীয় আলোচনা করা হয়েছে। যদি সতর্ক থাকার পরেও আপনার মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে নিম্নোক্ত তিনটি স্টেপ অনুসরণ করুন—
১) আইএমইআই নম্বর উল্লেখপূর্বক থানায় জিডি করুন।
২) জিডির একটি কপিসহ র‌্যাবে অভিযোগ করুন। অনেকেই জানেন না, র‌্যাব পুলিশেরই ইউনিট।
৩) জিডির কপিতে উল্লেখ করা অফিসারের সাথে যোগাযোগ রাখুন এবং তার মাধ্যমে ডিবি এর ট্র্যাকিং টিমের সহায়তা নিন।

অনেক সময় দেখা যায় আইটিতে দক্ষ ইউজার নিজেই ট্র্যাক করে বের করে ফেলেছেন মোবাইলের অবস্থান। এরকম হলে ডিবির জন্য বসে থেকে লাভ নেই, লোকেশন সহ জিডিতে উল্লেখিত অফিসারের সহায়তা নিয়ে চোর মশাইকে করে ধরে ফেলুন।
জিডি করে বেশিরভাগ সময়েই ফোন ফেরত পাওয়া যায় না। এর কারণ হচ্ছে, ডিবির ট্র্যাকিং টিম মূলত প্রায়োরিটি দেয় অতি গুরুত্বপূর্ণ কেইসগুলোর মোবাইল ট্র্যাকিং-কে; খুন, সন্ত্রাস ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট মোবাইল ট্র্যাক করাই এদের মূল কাজ, তাই হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারের সিরিয়াল বহু পরে আসে। ততদিনে আপনি নতুন মোবাইল কিনে ফেলেন!

তবুও জিডি করবেন কেন?
১) আপনার মোবাইল ব্যবহার করে কেউ অপকর্ম করলে সেটা যাতে আপনার ঘাড়ে না পড়ে সেজন্য। আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইলে সংরক্ষিত তথ্য ব্যবহার করে কেউ যদি অপকর্ম করে, জিডির কপি দেখিয়ে সেটার দায় থেকে রক্ষা পেতে পারবেন।
২) হঠাৎ হঠাৎ জিডির দ্বারা ট্র্যাকিং করে মোবাইল পাওয়া গেলেও যেতে পারে।

এবার মেয়েদের জন্য একটা পরামর্শ, জেন্ডার বায়াসড শোনালেও ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। প্লিজ, মোবাইল ফোনে নিজেদের এমন কোন ছবি রাখবেন না যেটা প্রকাশ হওয়াটা আপনার জন্যে অনেক ক্ষতিকর।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

সবার সুবিধার জন্য মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওভারের বিস্তারিত দেয়া হলো—


মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের যেকোনো জায়গা দিয়ে উঠে অন্য যেকোনো জায়গায় নামা যাবে না, আসলে এটা ৭টা পথ বা Route এর সমন্বয়।

★ নিচে দেখেন, কোন দিক দিয়ে উঠলে কোথায় যাওয়া যাবে—
১ক) তেজগাঁও দিয়ে উঠে সোজা গেলে হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে নামতে পারবেন।
১খ) তেজগাঁও দিয়ে উঠে মগবাজারের উপর, বাঁয়ে গেলে ওয়ারলেস গেইট নামা যাবে, আরো সামনে গিয়ে আবার ফ্লাইওভারে উঠলে শান্তিনগর, রাজারবাগ এবং রামপুরা যাওয়া যাবে।
২ক) বাংলামোটর দিয়ে উঠলে ওয়ারলেস গেইটে নামতে পারবেন, আরো সামনে গিয়ে আবার ফ্লাইওভারে উঠলে শান্তিনগর, রাজারবাগ এবং রামপুরা যাওয়া যাবে।
৩ক) হলিফ্যামিলি হাসপাতাল দিয়ে উঠে সোজা গেলে নামা যাবে তেজগাঁও সাতরাস্তা পার হয়ে। 
৩খ) হলিফ্যামিলি হাসপাতাল দিয়ে উঠে মগবাজার মোড় পিছনে ফেলে, বাঁয়ে গেলে নামবেন হোটেল সোনারগাঁও/কাওরান বাজারের কাছে। 
★ কাওরান বাজার দিয়ে ফ্লাইওভারে উঠার রাস্তা নাই।
৪ক) ওয়ারলেস গেইট দিয়ে উঠে সোজা গেলে নামতে পারবেন রাজারবাগের আগে।
৪খ) ওয়ারলেস গেইট দিয়ে উঠে মৌচাক মোড়ে বাঁয়ে গেলে নামতে পারবেন রামপুরার দিকে। 
৪গ) ওয়ারলেস গেইট দিয়ে উঠে প্রথমে মৌচাক মোড় পার হলেন, তারপর মালিবাগের মোড়ে ডানে গেলে নামবেন শান্তিনগরের কাছে। 
৫ক) শান্তিনগর দিয়ে উঠে মালিবাগের কাছে ফ্লাইওভার বাঁয়ে বাক নেবে, এরপর সোজা গেলে নামবেন বাংলামোটর।
৫খ) শান্তিনগর দিয়ে উঠে মালিবাগের কাছে ফ্লাইওভার বাঁয়ে বাক নেবে, এরপর মৌচাকের মোড়ে ডান দিয়ে গেলে নামবেন রামপুরার দিকে।
৬ক) রাজারবাগ দিয়ে উঠে, নাক বরাবর সোজা গেলে বাংলামোটর নামা যাবে।
৬খ) রাজারবাগ দিয়ে উঠে, মালিবাগের কাছে বাঁয়ে গেলে নামবেন শান্তিনগর মোড়। 
৬গ) রাজারবাগ দিয়ে উঠে, মৌচাক মোড়ে ডানে গেলে নামবেন রামপুরার দিকে। 
৭ক) রামপুরা দিয়ে উঠে, মৌচাক মোড়ে ফ্লাইওভার বাঁয়ে বাঁক নেবে, তারপর সোজা গেলে নামবেন রাজারবাগ।
৭খ) রামপুরা দিয়ে উঠে, মৌচাক মোড়ে ফ্লাইওভার বাঁয়ে বাঁক নেবে, এরপর মালিবাগের মোড়ে ডানে গেলে নামতে পারবেন একেবারে কাকরাইলের কাছে।

★ এখন দেখেন কোথায় নামতে হলে, আপনাকে কোন দিক দিয়ে উঠতে হবে—
a) তেজগাঁও সাতরাস্তায় নামতে হলে, উঠতে পারবেন শুধুমাত্র হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে ।
b) হোটেল সোনারগাঁও/কাওরান বাজারের কাছে নামতে হলে, উঠতে পারবেন শুধুমাত্র হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে ।
c) বাংলামোটরের মোড়ে নামতে হলে, উঠতে পারবেন শান্তিনগর মোড় অথবা রাজারবাগ থেকে। 
d) হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে নামতে হলে, উঠতে পারবেন শুধুমাত্র তেজগাঁও সাতরাস্তার পর।
e) ওয়ারলেস গেইট নামা যাবে, যদি আপনি উঠেন তেজগাঁও সাতরাস্তার পর অথবা বাংলামোটর দিয়ে। 
f1) কাকরাইল/শান্তিনগর নামতে হলে, উঠতে হবে রাজারবাগ অথবা রামপুরা অথবা ওয়ারলেস গেইট দিয়ে। 
f2) কাকরাইল/শান্তিনগর যাওয়া যাবে, বাংলামোটর অথবা তেজগাঁও সাতরাস্তা দিয়ে উঠেও, ওদিক থেকে এসে আপনাকে ওয়ারলেস গেইটে নেমে আবার সামনের ফ্লাইওভারে উঠাতে হবে। 
g1) রাজারবাগ নামা যাবে, যদি আপনি উঠেন রামপুরা অথবা ওয়ারলেস গেইট দিয়ে।
g2) রাজারবাগ যাওয়া যাবে, বাংলামোটর অথবা তেজগাঁও সাতরাস্তা দিয়ে উঠেও, ওদিক থেকে এসে আপনাকে ওয়ারলেস গেইটে নেমে আবার সামনের ফ্লাইওভারে উঠাতে হবে। 
h1) রামপুরার কাছে নামতে হলে, উঠতে পারবেন ওয়ারলেস গেইট অথবা শান্তিনগর অথবা রাজারবাগ থেকে। 
h2) রামপুরার কাছে যাওয়া যাবে, যদি আপনি বাংলামোটর অথবা তেজগাঁও সাতরাস্তা দিয়ে উঠে, ওয়ারলেস গেইটে নেমে আবার সামনের ফ্লাইওভারে উঠেন।

★ এখন দেখেন কোথা থেকে কোথায় যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভারের বদলে নিচের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে—
I) তেজগাঁও থেকে হোটেল সোনারগাঁও/কাওরান বাজার এবং বাংলামোটর যাওয়ার জন্য।
II) বাংলামোটর থেকে তেজগাঁও, হোটেল সোনারগাঁও/কাওরান বাজার এবং হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে যাওয়ার জন্য। 
III) হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছ থেকে বাংলামোটর, ওয়ারলেস গেইট, কাকরাইল/শান্তিনগর, রাজারবাগ এবং রামপুরা যেতে নিচের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। 
IV) শান্তিনগর মোড় থেকে তেজগাঁও, হোটেল সোনারগাঁও/কাওরান বাজার, ওয়ারলেস গেইট এবং রাজারবাগ যাওয়ার জন্য। 
V) রাজারবাগ থেকে তেজগাঁও, হোটেল সোনারগাঁও/কাওরান বাজার, ওয়ারলেস গেইট এবং হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে যাওয়ার জন্য।
VI) রামপুরা থেকে ওয়ারলেস গেইট, তেজগাঁও, কাওরান বাজার, বাংলামোটর এবং হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে যাওয়ার জন্য নিচের রাস্তা ব্যবহার করতে হবে। 
VII) ওয়ারলেস গেইট থেকে তেজগাঁও, হোটেল সোনারগাঁও/কাওরান বাজার এবং হলিফ্যামিলি হাসপাতালের কাছে যাওয়ার জন্য ফ্লাইওভারে উঠার প্রয়োজন নাই।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

জেনেশুনে চলুন, না হলে পথ হারাবেন মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভারে


দীর্ঘ ভোগান্তি শেষে উদ্বোধন হয়েছে মালিবাগ-মগবাজার ফ্লাইওভার। নতুন উদ্বোধন হওয়া এই ফ্লাইওভার দিয়ে কেউ প্রয়োজনের তাগিদে কেউ আবার নতুন ফ্লাইওভারের সৌন্দর্য দেখতে ঘুরতে আসছেন। তবে বেশির ভাগ চালকই ওপরে ওঠার পরে কোন পথে নিচে নামবেন কিংবা কোন পথে যাবেন গন্তব্যে তা নিয়ে পড়ে যান গোলক ধাঁধায়।

উড়াল সড়ক হয়ে গতি কমিয়ে পাশের কারো থেকে জেনে নেওয়ারও সুযোগ মিলছে না। পথ নির্দেশনা থাকলেও আকারে ছোট হওয়ায় নির্দেশকগুলো সহজে চোখে পড়ে না। তাছাড়া ইচ্ছা করলেও ফ্লাইওভারটি দিয়ে যেকোনো প্রান্তে সরাসরি পৌঁছা যাবে না। তাই রাজধানীর দ্বিতীয় বৃহত্তম এই উড়াল সেতুটিতে উঠে বিড়ম্বনায় পড়ছেন অনেকেই।

পথ নির্দেশনা: এফডিসি, মগবাজার ও মালিবাগে লেভেলক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে চলে গেছে ফ্লাইওভারটি। এটি রাজধানীর আটটি স্থানকে ওপরের পথে যুক্ত করেছে। সাতরাস্তা দিয়ে ওপরে উঠলে মগবাজার হয়ে রমনা থানা বা হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল ও ওয়্যারলেস এলাকায় যাওয়া যাবে। আবার হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল বা রমনা থানা থেকে কারওয়ান বাজার ও সাতরাস্তা যাওয়া যাবে।

ইস্কাটন থেকে উঠে যাওয়া যাবে ওয়্যারলেস পর্যন্ত। ওয়্যারলেস অংশ থেকে যাওয়া যাবে হাজীপাড়ার শহীদি জামে মসজিদ, শান্তিনগর ও রাজারবাগে। আবুল হোটেল থেকে ফ্লাইওভারে উঠলে যাওয়া যাবে শান্তিনগর, রাজারবাগ ও ইস্কাটনে। রাজারবাগ অংশ থেকে চলাচল করা যাবে শান্তিনগর, আবুল হোটেল ও ইস্কাটনে। শান্তিনগর থেকে যাওয়া যাবে ইস্কাটন ও হাজীপাড়ার শাহি মসজিদে।

রাজারবাগ থেকে উঠলে শান্তিনগর, রামপুরা ও বাংলামোটর যাওয়া যায়। শান্তিনগর যাওয়ার জন্য বাঁয়ে প্রথম মোড় ধরলেই চলে। বাংলামোটর যেতে সোজা সামনে গিয়ে মৌচাক পৌঁছে বাঁয়ের পথ ধরতে হয়। রামপুরা যাওয়ার জন্য মৌচাক থেকে ডানের পথে চলতে হয়। অবশ্য সেখানে পড়তে হয় সিগন্যালে।

শান্তিনগর থেকে উঠে রাজারবাগে যাওয়া যাবে না। মৌচাক পেরিয়ে নামা যাবে বাংলামোটর কিংবা রামপুরা। রামপুরা থেকে মৌচাকের ওপর দিয়ে সোজাসুজি যাওয়া যায় রাজারবাগ বা শান্তিনগর। সিগন্যালহীন পথে থামা যাবে না।

বাংলামোটর থেকে উঠে চলাচল করা যাবে ওয়্যারলেস গেট পর্যন্ত। ওয়্যারলেস গেট থেকে ধরে রামপুরা, রাজারবাগ ও শান্তিনগরে যাওয়া যাবে। মৌচাকে গিয়ে বাঁয়ে মোড় নিয়ে মলিবাগ চৌধুরীপাড়া পার হয়েই মিলবে রামপুরার দিকটি।

রাজারবাগ ও শান্তিনগরে যেতে মৌচাকে পড়তে হয় সিগন্যালে। সিগন্যাল পার হয়ে সোজা পথে চলা যাবে রাজারবাগের দিকে। হলি ফ্যামিলি থেকে উঠে সোজা সাতরাস্তা ও তেজগাঁও। এফডিসি মোড় থেকে বাঁয়ের দিকে এগোলে সোনারগাঁও হোটেল কিংবা কারওয়ান বাজারে যাওয়া যাবে। সোনারগাঁও-কারওয়ান বাজার থেকে এই ফ্লাইওভারে ওঠা সম্ভব হবে না।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Friday, February 8, 2019

পুলিশ ঘুষ চাইলে বা অনৈতিক কিছু দাবি করলে তা প্রতিরোধের উপায়।


এভাবেই পুলিশ ঘুষ চাইলে বা অনৈতিক কিছু দাবি করলে তা প্রতিরোধের করতে এগিয়ে আসি সকলে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

বৈধ ড্রাইভিংয়ে ট্রাফিক-ফাইন এড়াতে যে আইনি সুবিধা পাওয়া যায়।


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশানুযায়ী আপনি যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা গাড়ির কাগজপত্র সাথে না থাকা অবস্থায় ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন তাহলে সাথে সাথে ফাইন দিবেন না। আইনত, কাগজ দেখানোর জন্য আপনি ১৫ দিন সময় পাবেন। চালান কাটার তারিখ হতে ১৫ দিনের মধ্যে কাগজপত্র দেখালে ঐ চালান বাতিল হয়ে যাবে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

মেয়েরা ইজিবাইকে চলাফেরায় সচেতন হোন!


ইজিবাইক, মেয়েরা সাবধান!
কোন পরিস্থিতিতে একজন মা তাঁর নিজের সন্তানের দায়িত্ব নিতে চান না, তা জানার জন্য একটা ঘটনা শুনে নিই। সিরাজগঞ্জের লিপি তখন সন্তানসম্ভবা। যেকোনো দিন সন্তান দেখবে পৃথিবীর আলো। এর মধ্যে লিপির জীবনে নেমে এল অন্ধকার।

অন্যদিনের মতোই সিরাজগঞ্জ শহরে ইজিবাইকে চড়েছিলেন তিনি। তাঁর ওড়না চলন্ত ইজিবাইকের মোটরে আটকে গেল। ঘাড়ের হাড় ভেঙে যায় লিপির। সেদিনের পর লিপির পুরো শরীর অবশ হয়ে গেল। সাভারে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুর্নবাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। শরীর অবশ, কিন্তু সন্তান জন্মানোর সময় এগিয়ে আসছে। অবশ শরীরে সন্তান জন্মদানের চিকিৎসা সিআরপিতে না থাকায় তাঁকে অস্ত্রোপচারের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলো। জন্ম নিল লিপির সন্তান। নিজের চলাফেরা করার ক্ষমতা নেই, তাই সন্তানের দায়িত্ব নিতে চান না। এমনকি মায়ায় জড়িয়ে পড়ার ভয়ে সন্তানের মুখ পর্যন্ত দেখতে চাননি। সিআরপি কর্তৃপক্ষ লিপির সন্তানকে দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করে। এ ঘটনা শুনি ২৯ জুলাই ঢাকার সাভার উপজেলার সিআরপিতে গিয়ে।

লিপি তো একজন। আরও ঘটনা জানা যায়। গাইবান্ধার ১৫ বছরের শাম্মীরও এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। চাচাতো বোনের সঙ্গে কেনাকাটা করতে যাচ্ছিল ইজিবাইকে করে। হঠাৎ ওড়না আটকে যায়। মুহূর্তেই মেরুদণ্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর গাইবান্ধায় কিছুদিন চিকিৎসা চলে। ৩০ জুলাই মুঠোফোনে শাম্মী প্রথম আলোকে বলে, ‘গাইবান্ধায় যখন আমার শারীরিক কোনো উন্নতি হচ্ছিল না, তখন আমাকে সিআরপির কথা বলেন চিকিৎসকেরা। সেখানে নানা রকম থেরাপি চলে। কথা বলতে পারি আবার। হাতে শক্তি ফিরে আসে। তবে শরীরের নিচের অংশ এখনো অবশ।’ আশার কথা হলো, শাম্মী আবার স্কুলে যেতে শুরু করেছে। লেখাপড়া করছে।

গত ঈদুল ফিতরের সময় ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে মেরুদণ্ডে আঘাতপ্রাপ্ত তিনজন ভর্তি হয়েছিলেন সিআরপিতে। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা যান।

সিআরপির তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় বছরে এই ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে ৩৬ জন নারী ও ১ জন পুরুষ মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়ে শারীরিক ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় সবচেয়ে বেশি এমন দুর্ঘটনার হার। ঢাকা বিভাগে ১৫ জন এ ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হন। খুলনায় ৭ জন, রংপুরে ৬ জন, চট্টগ্রামে ৪ জন, বরিশালে ৩ জন এবং রাজশাহীতে ২ জন এই ভয়াবহতার মুখোমুখি হন। কেউ কেউ প্রাণ হারান।

দুর্ঘটনায় পড়া বেশির ভাগ নারীর বয়স ২০ বছরের নিচে। পরিসংখ্যান বলে, দুর্ঘটনার শিকার ২৩ জন নারীর বয়স ২০-এর নিচে আর ১৩ জনের বয়স ২০-এর ওপরে।

সিআরপির নির্বাহী পরিচালক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এ ধরনের ইজিবাইক যেহেতু গ্রামীণ এলাকায় চলে, তাই সব দুর্ঘটনার খবর হয়তো আমাদের কাছে আসে না। দুর্ঘটনার পরপর স্থানীয় হাসপাতালে বা ক্লিনিকে চিকিৎসা করান কেউ কেউ, সে সময়ও অনেকে মৃত্যুবরণ করেন। এটা এমন কোনো সমস্যা নয়, যা সমাধান করা যাবে না। সিআরপি ইতিমধ্যে অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। ইজিবাইকের নির্মাণগত ত্রুটির কারণে এমন দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। ইজিবাইকের ভেতরে থাকা ফাঁকা জায়গা দিয়ে ওড়না নিচের মোটরে আটকে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। সিআরপি ৫০০ ইজিবাইকে কাঠ দিয়ে এই ফাঁকা জায়গা বন্ধ করার ব্যবস্থা করেছে। সবাই মিলে সচেতন হলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।’

কীভাবে ঘটে এই দুর্ঘটনা?
ইজিবাইকের চালকের আসন ও যাত্রীদের বসার আসনের মাঝে ফাঁকা থাকে প্রায় ছয় ইঞ্চি। এর মধ্য দিয়ে ওড়না, শাল, চাদর ঝুলে গিয়ে মোটরে আটকে যায়। শুধু ইজিবাইক নয়, রিকশা, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও মোটরযানের সঙ্গেও ওড়না পেঁচিয়ে যেতে পারে।

দুর্ঘটনার ভয়াবহতা
সিআরপির মেডিকেল সার্ভিস উইংসের রেজিস্ট্রার ইশরাত জাহান জানালেন এর ভয়াবহতা। মোটরযান দ্রুতগতিতে চলে। তাই মুহূর্তে ঘটে এই দুর্ঘটনা। ঘাড়ে থাকা মেরুদণ্ডের পাঁচ ও ছয় নম্বর হাড় সরে যায়। মেরুরজ্জু আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এতে শরীর বোধশক্তি ও কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ঘাড়ের আঘাতের কারণে কারও কারও শ্বাসকষ্ট হয়। এ থেকেও অনেকে মারা যায়।

ইশরাত জাহান বলেন, আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ামাত্র সময় নষ্ট না করে সিআরপি বা পঙ্গু হাসপাতালে নিতে হবে। সাধারণ হাসপাতালে এই রোগীদের সঠিক চিকিৎসা হয় না। পরে রোগীকে আরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

আঘাত পাওয়ার পর খেয়াল রাখতে হবে, ঘাড়ে যেন আর আঘাত না পায়। যত কম নড়াচড়া করানো যায়। ঘাড়ের নিচে, পিঠের নিচে ও পায়ের নিচে হাত রেখে স্ট্রেচারে শুইয়ে হাসপাতালে নিতে হবে।

প্রতিরোধের উপায়
সফিকুল ইসলাম মনে করেন, সব ক্ষেত্রের মানুষের চেষ্টা ও সচেতনতা পারবে এটি দূর করতে। খোলা যানবাহনে চলাচলের সময় ওড়না পেছনে ঝুলিয়ে না রেখে সামনে কোলের ওপর নিয়ে বসতে হবে। চেষ্টা করবেন ওড়না পরা অবস্থায় অটোরিকশাচালকের পাশে এবং চালকের পেছনের আসনে না বসতে। কারও খেয়াল না থাকলে তাঁকে মনে করিয়ে দেওয়া।

সমস্যা এখানে শেষ হচ্ছে না। সাধারণত এ ধরনের ইজিবাইক চীন থেকে আমদানি করা হয়। ঢাকার টঙ্গী ও মুগদাপাড়ায় এর যন্ত্রাংশ সংযোজন করে ইজিবাইক তৈরি করা হয়। যেহেতু চীনের মেয়েদের ওড়না পরার অভ্যাস নেই, তাই সেখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট ভিন্ন হওয়ায় এমন ভয়াবহতার শিকার হচ্ছেন নারীরা।

সাভার পৌরসভা অটোবাইক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দীন ইসলাম বলেন, ‘আমাদের সমিতির অধীনে ১০০ ইজিবাইক আছে। সেগুলোতে টিনের পাত ও কাঠ লাগানো হয়েছে। সিআরপির সঙ্গে মিলে সাভার এলাকার বেশির ভাগ ইজিবাইকে কাঠের পাটাতন লাগিয়েছি আমরা। আশপাশের ইজিবাইক বিক্রয়কেন্দ্রগুলোতে জানানো হয়েছে দুর্ঘটনার কথা। তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন, প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। তবে পুরোনো ইজিবাইকে এই সমস্যা আছে। নতুন আসা ইজিবাইকগুলোতে এই ফাঁকা জায়গা থাকছে না। তারপরও আমরা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করব।’

ইজিবাইক অবৈধ। এটি নিরাপদ নয়, তাই সড়কে চলাচলের জন্য বিআরটিএর অনুমোদনও নেই। তারপরও দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে ঢাকার বাইরে ইজিবাইক চলাচল করছে। এ প্রসঙ্গে ইজিবাইক নিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) রোড সেফটি বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই রাব্বানী বলেন, ‘ঢাকায় বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মনিটরিং করে তাই ঢাকায় এটি চলাচল করে না। ঢাকার বাইরে যেখানে মনিটরিং করা যায় না, সেখানে ইজিবাইক বেশি চলে। পুলিশ বাহিনীও এ ব্যাপারে কাজ করছে। আমরাও আরও পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করছি।’

এক মুহূর্তে জীবন বদলে যাচ্ছে। হারিয়ে যাচ্ছে কর্মক্ষমতা। নিজে সচেতন হোন, অন্যকেও করুন। শাম্মীর মা বলেছিলেন, কারও মা-মেয়ে, বোনের যেন এমন না হয়। পরিবারে যেন নেমে না আসে অন্ধকার।
('প্রথম আলো' থেকে সংগৃহীত)

এর আগে বিষয়টি 'ইত্যাদি'তে ভিডিওচিত্রসহ দেখানো হয়েছিল। আসুন আমরা আমাদের সমাজে এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করি।

ভালো থাকুন | School of Awareness

অফিসে বসে এই সাইটগুলোতে যাবেন না!


তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে অফিস মানেই কম্পিউটারের ব্যবহার। আর কম্পিউটার মানেই ইন্টারনেটে যেতে হয় এ সাইট থেকে ও সাইটে। কে না জানে, ইন্টারনেট পেলেই অদ্ভুতুড়ে সব সার্চের অভ্যাস চেপে বসে আমাদের মনে! কিন্তু অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারে কিছু বিধিনিষেধ তো থাকেই। এসব বিধিনিষেধের পরও ব্যক্তিগত টুকিটাকি কাজ ও সামাজিক যোগাযোগের সাইট মিলিয়ে নিজের কাজও থেমে থাকে না। তাই বলে অফিসে আপনার ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কম্পিউটারে আপনি যা খুশি তা-ই করতে পারেন না।

অফিসের কম্পিউটার ব্যবহারে কিছুটা সাবধানতা ও ‘কমন সেন্স’ জরুরি। কর্মক্ষেত্রে বিতর্কিত কিংবা বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়তে না চাইলে ব্যক্তিগত বিষয়বস্তু নিয়ে ‘ইন্টারনেটে সার্চ’-এর অভ্যাসটা আপনার বাসার কম্পিউটার কিংবা ল্যাপটপের জন্যই বরাদ্দ রাখুন। বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বলছেন, ওয়েবে কোনো কিছুই দীর্ঘদিন গোপন রাখা যায় না। অফিসে বসে আপনি যে ওয়েবসাইটেই যান না কেন, আইটি বিভাগের সহকর্মীর জন্য আপনার অনলাইন গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা কিন্তু খুব সহজ ব্যাপার। ‘সার্চ হিস্টরি’ ডিলিট করলেও কিন্তু আপনি নিরাপদ নন।
অফিসের কম্পিউটারে যে সাতটি সাইটে যাওয়া উচিত নয়—

১. পর্নোগ্রাফি কিংবা আপত্তিকর সাইট
এ কাজটি আপনার নির্বুদ্ধিতার পরিচায়ক। অফিসে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার বদঅভ্যাস থাকলে খুব দ্রুতই বিপদ ঘটতে যাচ্ছে আপনার ভাগ্যে। অফিসে পর্নোগ্রাফি দেখার জন্য হরহামেশাই বরখাস্ত হচ্ছেন কর্মীরা। আগামীকাল আপনি যে ছাঁটাই হবেন না, সেই নিশ্চয়তা দেবে কে! তা ছাড়া এটা রুচিরও প্রশ্ন। এতে কর্মী হিসেবে কুরুচিপূর্ণ মনোভাব প্রকাশ পায় অফিসে, যা আপনার জন্য ভীষণ বিব্রতকর। তাই আজই পর্নো দেখার বদঅভ্যাস বর্জন করুন। অফিসে বসে এসব সাইটে একদম ঘোরাঘুরি করবেন না। সামান্য এ ইচ্ছাকে বশ মানাতে না পারলে তা আপনার পরিবারের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

২. ব্যক্তিগত ব্যবসা কিংবা শেয়ারের সাইট
চাকরির পাশাপাশি ব্যক্তিগত ব্যবসা থাকলে তা আপনার অফিসে প্রভাব ফেলবেই। যেমন ধরুন, বাংলাদেশে অনেকেই চাকরির সঙ্গে শেয়ার বাজারেও বিনিয়োগ করে থাকেন। অফিসে বসে প্রায় সারাক্ষণই শেয়ারের সাইটে চোখ রাখেন তাঁরা। এটা মোটেও কর্মীসুলভ আচরণ নয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বক্তা মিশেল কের মতে, ‘চাকরির সময় নিজের ব্যক্তিগত ব্যবসায় সময় দিতে গিয়ে বরখাস্ত হয়েছেন বহুসংখ্যক কর্মী।’ অর্থাৎ, আপনি অফিসে বসে সারাক্ষণই শেয়ার বাজারের সাইটে দর ওঠা-নামায় চোখ রাখছেন—এমনটা ঘটলে বিপদ অবশ্যম্ভাবী। কেননা, কোনো অফিসই কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের ব্যক্তিগত কিংবা অন্য কোনো কাজে মনোযোগ দেওয়ার ব্যাপারটি মেনে নেবে না।

৩. চাকরি খোঁজার সাইট
বর্তমান চাকরিতে আপনি সন্তুষ্ট নন, তাই কর্মক্ষেত্র পাল্টাতে চান। এ জন্য অফিসে বসেই আপনি ‘জব সাইট’গুলোতে ঢুঁ মারছেন। কখনো ভেবে দেখেছেন, এটা আপনার বর্তমান চাকরির জন্য কতখানি বিপজ্জনক? বাসায় বসে চাকরি খোঁজাই নিরাপদ। কেননা, অফিসে বসে কর্মঘণ্টা নষ্ট করে আপনি অন্য কোনো চাকরি খুঁজছেন, তা মেনে নেবে কোনো ‘বস’? এতে আপনার চাকরিও চলে যেতে পারে। আর অফিসের প্রতিপক্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইটে ঢুঁ মারলে তো কথাই নেই; পত্রপাঠ বিদায়ের সম্ভাবনাই বেশি!

৪. ডেটিং সাইট
কর্মক্ষেত্রের কম্পিউটারে ব্যক্তিগত জীবনের ছাপ না পড়াই ভালো। মনে রাখবেন, অফিস ও ব্যক্তিগত জীবন—এ দুটো সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়। কিন্তু অনেকেই তা মানতে নারাজ। বাংলাদেশেও ইদানীং অফিসে বসে ডেটিং সাইটে ঢুঁ মারছেন অনেকে। আপনি একা, তাই সম্পর্কে জড়াতে চান; ভালো কথা কিন্তু সেই চেষ্টা অফিসে বসে কেন? অফিস নিশ্চয়ই ডেটিং সাইটে ঢুঁ মারার জন্য আপনাকে মাসে মাসে পারিশ্রমিক দিচ্ছে না? বিবাহিত কর্মীদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আরও বেশি ভয়ানক ও বিব্রতকর। অফিসে জানে আপনি বিবাহিত, কিন্তু পাশাপাশি এটাও জানে আপনি নিজেকে জড়ানোর চেষ্টা করছেন নতুন সম্পর্কে—এতে অফিসে আপনার ব্যক্তিত্ব থাকে? এ বদঅভ্যাসটা মাত্রাতিরিক্ত হলে কিন্তু চাকরিও যেতে পারে।

৫. টরেন্ট, স্ট্রিমিং ও ডাউনলোড
অফিসে অনেকেই এটা করে থাকেন। কম্পিউটারে টরেন্ট কিংবা পাইরেটস বে থেকে কয়েক গিগাবাইটের সিনেমা কিংবা টিভি সিরিজ ডাউনলোড করছেন। এটা আসলে ‘কমন সেন্সে’র প্রশ্ন। ভেবে দেখুন তো, আপনার সিনেমা নামানোর বাতিকের কারণে গোটা অফিসের ইন্টারনেট সিস্টেম ধীরগতির হয়ে পড়ছে, এবং সেটাও প্রতিদিন! তাহলে এ কাজের জন্য আপনাকে বরখাস্ত করা হবে না কেন?
ভাবছেন লুকিয়ে ডাউনলোড করবেন। না, অফিসে তা সম্ভব নয়। আইটি বিভাগের সহকর্মীরাই আপনাকে ধরে ফেলবেন। ৫ থেকে ১০ মিনিটের ভিডিও ডাউনলোড করলে হয়তো তেমন কিছু হবে না। কিন্তু অফিসে প্রতিদিনই যদি সিনেমা, টিভি সিরিজ কিংবা অন্য কিছু ডাউনলোড করেন, তাহলে সেটা অবশ্যই আপনার বিপদের কারণ হবে।

৬. স্বীকারোক্তিমূলক সাইট
কর্মক্ষেত্রে আমরা অনেক সময়ই অফিস কিংবা সহকর্মীর ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠি। বাংলাদেশে এ ক্ষোভ ঝাড়তে অনেকেই বেছে নেন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমকে। কিংবা রয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক কিছু সাইট। অফিসে বসে এ ধরনের কাজ করা ভীষণ গর্হিত ব্যাপার। যেহেতু আপনার অফিসের আইটি ডিপার্টমেন্টের কাছে আপনার কম্পিউটারের ‘সার্চ হিস্টরি’ রয়েছে, সেহেতু এ ধরনের কাজ চাকরি যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা হলো, অফিসের ব্যাপারগুলো অফিস পর্যন্ত থেকে যাওয়াই ভালো।

৭. ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিভিন্ন সাইটে ঘোরাঘুরি
অফিসে আপনার কাজের নির্দিষ্ট কিছু গণ্ডি রয়েছে। এর বাইরে ব্যক্তিগত ইচ্ছা কিংবা শখের বশে বিভিন্ন সাইটে ঘোরাঘুরি করা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। যেমন ধরুন, আপনি একটি ভালো স্মার্টফোন কিনতে চান। এ জন্য অফিসের কাজ ফেলে কম্পিউটারে বিভিন্ন সাইট থেকে তথ্য নেওয়ার ব্যাপারটি মোটেও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখবে না আপনার বস। কাজের সময় নষ্ট করে ব্যক্তিগত কাজে পড়ে থাকাটা অফিসে অযোগ্যতার লক্ষণ।

শেষ কথা
অফিসে যে কম্পিউটারটি আপনি ব্যবহার করছেন, তা চালাতে সব সময়ই ছোটখাটো কিছু সাবধানতা জরুরি। সবচেয়ে বড় কথা হলো, অফিসে কোনটি করা ঠিক আর কোনটি ঠিক নয়—এ প্রশ্নটা নিজেকে করুন। জবাব পেয়ে যাবেন আপনাই। তারপরও ছোটখাটো কিছু পরামর্শ হলো, কাজ শেষে অবশ্যই কম্পিউটার লগ আউট করুন। পাসওয়ার্ড সংরক্ষণে রাখুন এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকুন। অফিসে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব বেশি ঘোরাফেরা না করাই ভালো। অফিসে যদি ফেসবুক বন্ধ থাকে, অন্য উপায় (প্রক্সি) ব্যবহার করে ফেসবুকে যাবেন না। ‘সেলফি’ সংস্কৃতিও যেন মাত্রাতিরিক্ত না হয় অফিসে। মনে রাখবেন, অফিস মানেই গোছানো পরিপাটি কাজের জায়গা, যেখানে কোনো অনিয়ম কিংবা অগোছালো কর্মকাণ্ড আপনার চাকরিকে ঠেলে দিতে পারে হুমকির মুখে। বিশেষ করে অফিসে যে পিসিটি আপনার জন্য বরাদ্দ, সেটির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখার ক্ষমতা আছে আইটি বিভাগের।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে সতর্ক হোন, জেনে নিন চোর চক্রের ফাঁদ থেকে মুক্ত আছেন কি না?


যেসব উপায়ে চোরেরা হাতিয়ে নিতে পারে এটিএমের গোপন নম্বর, জেনে নিন-

এটিএম কার্ড প্রতারণার ঘটনা শুধু যে বিদেশেই হচ্ছে তা নয়, দেশেও হচ্ছে। দেশেও কার্ড প্রতারণার বিষয়টি উঠে এসেছে অনেক আগে। তবে সম্প্রতি একাধিক চক্রকে কার্ড জালিয়াতির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করলে তা আরও বেশি আলোচনায় আসে। বেশ কয়েকটি উপায়ে ডিজিটাল চোর বা হ্যাকাররা হাতিয়ে নিতে পারে আপনার এটিএম কার্ডের তথ্য। সে উপায়গুলো জেনে নিয়ে সতর্ক থাকাটা অনেকটাই জরুরি হয়ে উঠেছে এটিএম কার্ড ব্যবহারকারীদের।

কার্ড স্কিমার
স্কিমিং হলো একটি ম্যাগনেটিক ছোট চিপযুক্ত যন্ত্র, যা এটিএম কার্ডের গোপন নম্বর ও তথ্য পড়তে সক্ষম। এই ডিভাইস এটিএম মেশিনের ভেতরেও তথ্য সংগ্রহের জন্য দেওয়া থাকে। তবে এটিএম জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনের সঙ্গে তাদের নিজস্ব স্কিমিং ডিভাইস যুক্ত করে দেয়। এতে কোনো এটিএম কার্ড এটিএম মেশিনে প্রবেশ করালে মূল স্কিমিং যন্ত্রের সঙ্গে জালিয়াত চক্রের স্কিমিং যন্ত্রেও কার্ডের তথ্য চলে যায়। তাই এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করানোর আগে এ বিষয়টি লক্ষ রাখতে হবে।

নকল কার্ড স্লট
এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গিয়ে যদি কার্ড স্লট দেখতে অস্বাভাবিক বা বেমানান কিংবা নড়বড়ে মনে হয়, তবে সাবধান! কেননা, জালিয়াত চক্র মূল কার্ড প্রবেশের স্লটের ওপর তাদের নিজস্ব কার্ড স্লট লাগিয়ে থাকতে পারে। এতে কার্ডের সব তথ্য চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

কার্ড ট্র্যাপিং
অনেক এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাতে গেলে সেটা খুব শক্ত মনে হয়। সে ক্ষেত্রে অনেকাংশেই কার্ডটি চুরি যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কার্ডটি ভেতরে আটকে যায় এবং পরবর্তী সময়ে তা আর ফেরত পাওয়া যায় না। তাই কার্ড মেশিনে আটকে গেলে তা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারের চেষ্টা করুন। এ ছাড়া এটিএম বুথে নিযুক্ত থাকা সহকারী ছাড়া আর কারও সহায়তা গ্রহণ না করাই শ্রেয়।

নকল এটিএম মেশিন
শুনে অবাক হবেন, আপনি যে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করাচ্ছেন, তার সামনের পুরো অংশটাই নকল হতে পারে। এটিএম জালিয়াত চক্র কোনো আসল এটিএম মেশিনের ওপর তাদের নকল অংশ লাগিয়ে রাখতে পারে আপনার কার্ডের তথ্য হাতিয়ে নিতে। সে ক্ষেত্রে অবশ্য নকল অংশ শনাক্তকরণ বেশ দুষ্কর।

নকল কি-প্যাড
নকল মেশিনের মতো এটিএম মেশিনের নম্বর বা কি-প্যাডও নকল হতে পারে। জালিয়াত চক্র আসল কি-প্যাডের ওপর নকল কি-প্যাড বসিয়ে দিতে পারে। ফলে এটিএম মেশিনে কার্ড প্রবেশ করিয়ে সেই নকল কি-প্যাডে গোপন নম্বর চাপলেই তা চলে যাবে চোরের কাছে। তাই গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর আগে দেখে নিতে হবে, কি-প্যাডটা দেখতে অস্বাভাবিক লাগছে কি না।

গোপন ক্যামেরা
এটিএম জালিয়াতির সবচেয়ে আদি পদ্ধতি হলো গোপন ক্যামেরা। জালিয়াত চক্র এটিএম মেশিনে বা আশপাশের এমন কোনো অবস্থানে ক্ষুদ্রাকৃতির এমন গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে রাখতে পারে, যা কি-প্যাডমুখী। অর্থাৎ কি-প্যাডে গোপন নম্বর প্রবেশ করালে তা ধারণ হবে সেই ক্যামেরায়। তাই এটিএম মেশিনে গোপন নম্বর প্রবেশ করানোর সময় যতটা সম্ভব হাত বা অন্য কিছু দিয়ে আড়াল করে রাখুন।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Thursday, February 7, 2019

ঢাকা শহরে গাড়িতে 'ডিম ছোড়া' চক্র হতে সাবধান!


যারা গাড়ী চালান তাদের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিশেষ সতর্কীকরনে বলা হয়—
আপনারা রাতে যারা গাড়ী চালান এবং হঠাৎ যদি দেখেন আপনার সামনের কাঁচের উপর কেউ ডিম ছুড়ে মেরেছে, দয়া করে গাড়ী থামিয়ে দেখতে যাবেন না কিংবা ওয়াইপার দিয়ে পরিস্কার করতে যাবেন না। পানি স্প্রে করে ওয়াইপার দিয়ে একদমই পরিস্কার করতে যাবেন না।
ডিম মিশ্রিত পানি দিয়ে পরিস্কার করতে গেলে অনেকটা দুধের মত ঘোলাটে হয়ে কাচের উপর আটকে যায়, এতে সামনে কিছু দেখার সম্ভাবনা ৯২.৫% শতাংশ নস্ট হয়ে যায়, এতে সামনে রাস্তার পাশে আপনি গাড়ী থামাতে বাধ্য হবেন।
ফলাফল হলো যারা ছিনতাই করতে ডিম ছুড়ে মেরেছিলো, তাদের দলের লোক সামনে ওঁত পেতে বসে আছে, আপনার জীবননাশের হুমকি রয়েছে। এই টেকনিক কিছু গ্যাং শুরু করেছে। আপনার বন্ধু, আত্মীয়স্বজন এবং বিশেষত আপনার ড্রাইভারকে জানিয়ে রাখুন যেনো এই ফাঁদে পা না দেয়।
এবং স্বার্থপরের মতো নিজে পড়ে চুপচাপ থাকবেন না, শেয়ার করে আপনার ফেসবুক ওয়ালে দিন যেন আপনার বন্ধুরাও জানতে পারে এবং সতর্ক হতে পারে।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

ATM থেকে টাকা বের হলো না, অথচ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কমে গেল, জেনে নিন তখন কী করবেন!


ATM থেকে টাকা তোলার সময় আমাদের এমন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়— যে সমস্যা সমাধানের রাস্তা আমাদের তৎক্ষণাৎ জানা থাকে না। সেই সময় কী করতে হবে বা কী করা উচিৎ আমরা বুঝতে পারি না। অনেক সময় দেখা যায়, আপনি ATM থেকে টাকা তুলতে গিয়েছেন, টাকা তুলতে পারলেন না। অথচ দেখলেন যে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কমে গিয়েছে। এমন অবস্থায় জেনে নিন কী করবেন—

(১) এমন ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে অর্থাৎ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ATM কার্ডটি নিয়ে ব্যাংকের কাছে এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান।

(২) White lebel ATM বা WLA-র ক্ষেত্রে এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য Contact নম্বর বা টোল ফ্রি নম্বরের সুবিধাও থাকে।

(৩) নন-ব্যাংকগুলির ATM-এর সেট-আপ, অপারেট যারা করে তাদের WHITE LEBEL ATM বলে।

(৪) রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার নির্দেশাবলী অনুযায়ী, গ্রাহকদের অভিযোগ অনুযায়ী অভিযোগের ৭ দিনের মধ্যে ব্যাংককে গ্রাহকের টাকা ফেরত দিতে হবে।

(৫) ২০১১ সালের ১ জুলাই থেকে ধার্য হওয়া নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংক গ্রাহককে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় দেরি হলে প্রতি ১ দিনে ১০০ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

(৬) ক্ষতিপূরণ অবশ্যই গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যেতে হবে ব্যাংকের পক্ষ থেকে, এবং গ্রাহকের ফের অভিযোগের আগেই।

(৭) যদি কোনও গ্রাহক এরকম ক্ষেত্রে ৩০ দিনের মধ্যেও ব্যাংকের কাছে অভিযোগ না জানান, তাহলে সেই গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী থাকবেন না।
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

মেয়েরা পার্টি/প্রোগ্রাম/অনুষ্ঠান তে সতর্ক থাকুন, 'হ্যাং আউট পিল' ডেকে আনতে পারে সর্বনাশ!


'হ্যাং আউট পিল/ সিডেটিভ পিল' নামক একটি ট্যাবলেট আছে যা পানিতে সহজেই দ্রবণীয় বলে যেকোনো পানীয়ের সাথে খাওয়ানো যায়; এই পিলটা 'রেইপ ড্রাগ' হিসেবে পরিচিত। কোনো পার্টি/প্রোগ্রাম/অনুষ্ঠান তে কিংবা কোথাও গেলে কিছু খাওয়ার আগে ভেবে চিন্তে সতর্কতার সাথে খাবেন। কারণ পিলটা এখন গোপনে বাজারজাত করা হচ্ছে। এই পিল ২০মি.লি. খাওয়ালে ৮ঘণ্টার জন্য আপনার মেমোরি লস হবে— আধো ঘুম আধো জাগরণে থাকবেন, আপনাকে কী করা হচ্ছে কিছুই বুঝবেন না, আবার জ্ঞানও হারিয়ে যাবে না।
এমনও হতে পারে যে, যে বয়ফ্রেন্ড/বন্ধু/বন্ধুদের আপনি নিজের খুব আপন মনে করেন সেই/ তারাই আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সর্বনাশ করতে পারে; মানুষ এক জটিল প্রাণী, তার মনের ভাব চেহারায় সবসময় ফুটে উঠে না, সে/ তারা দক্ষ অভিনেতার মতো পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রেখে কার্য সিদ্ধি করে থাকে।
কিছু পরামর্শ এরূপ হতে পারে—
১. কোনো পার্টি/প্রোগ্রাম/অনুষ্ঠান তে পানি/জুস/কোল্ড ড্রিংকস এর বোতলের সিপি অন্য কেউ খুলে দেওয়ার সুযোগ নেওয়ার আগেই বিতরণের সময় নিজের হাতে নিয়ে নিজেই বোতলের মুখের প্লাস্টিক প্রুফশিটটা খুলে নিজেই সিপি খুলুন; কাউকে অতিভক্তি দেখানোর সুযোগ দিবেন না।
২. কেউ এরূপ কোনো পানীয় আনতে গিয়ে আড়ালে অযথাই দেরি করছে মনে হলে কৌশলে বিষয়টি একটু খতিয়ে দেখার চেষ্টা করুন; এক্ষেত্রে স্থানের থমথমে পরিবেশ আপনার মনে সেরূপ কিছুর আভাসমূলক অনুভূতি সৃষ্টি করতে সহায়ক হবে।
৩. ফাঁকা হোটেল/ রেস্তরাঁয় একা খেতে বসবেন না, সেখানে নির্ভরযোগ্য কাউকে সঙ্গে নিয়ে যান কিংবা মানুষের সমাগমপূর্ণ রেস্তরাঁয় যান।
ইত্যাদি
(সম্পাদিত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

বিকাশে সাম্প্রতিক হুমকি 'ক্লোন কলিং', এই প্রতারনা থেকে সবাই সাবধান!


একদিন জনৈক জহির নামে বিকাশের কাস্টমার কেয়ার থেকে এরিয়া ম্যানেজার (মহাখালি) পরিচয় দিয়ে আমাকে +8801861139132 নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলে বিকাশের কিছু নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে তাই আমার বিকাশ একাউন্টের ব্যক্তিগত কিছু তথ্য তাকে দিতে হবে।
সচেতনতার জন্য নম্বর দেখে শুরুতেই খটকা লাগে, তাই আসলেই বিকাশের কাস্টমার কেয়ার কিনা তার পরিচয় যাচাইয়ের জন্য তাকে Challenge করতেই সে প্রচণ্ড ক্ষেপে যায় এবং বলে আমাকে সে বিকাশের কাস্টমার কেয়ারের Exchange থেকে Call দিচ্ছে বলেই লাইন কেটে দিয়ে +088016247 নম্বর থেকে ফোন দিয়ে বলে +8801861139132 নম্বর থেকে আমাকে যা করতে বলে তাই যেন করি। তার এই কথাই আমি তাকে আবার Challenge করি এবং তার কথামত কাজ করতে না চাইলে সে এবার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার শুরু করে। প্রতি উত্তরে কোন Customer Manager এভাবে কোন Client এর সাথে ব্যবহার করতে পারে কিনা এবং উদাহরণস্বরূপ Grameenphone বা Robi-র Customer care Manager কথা বলতেই সে বলে OK আপনাকে Grameenphone এর Customer care থেকেই Call দেয়া হচ্ছে বলে লাইন কেটে দিয়ে +088017111111111 নম্বর থেকে ফোন দিকে বলে Grameenphone Customer Center থেকে বড় কর্তা বলছেন এবং বলেন +8801861139132 নম্বর থেকে আমাকে যা করতে বলে তাই যেন করি। তাকে Challenge করলে পাশ থেকে সেই জনৈক ব্যক্তি জহির ফোন নিয়ে বলে আমি কথা না বলে আমার ব্যবহৃত বিকাশের ব্যক্তিগত সব তথ্য তাদের দিকে দিতে চাপাচাপি করে।
এতক্ষণে তাকে যাচাইয়ের জন্য আমার যা বোঝার বুঝে গেছি। এবার তাকে আবার Challenge করলে সে আমাকে হুমকি দিতে শুরু করে এবং কাজটা আমি ভালো করলাম না। আমার বিপদ হবে এবং হুমকি দিয়ে বলে তাদের কথা না শুনলে সমস্যা হবে। আমার সব নম্বর এবং একাউন্ট তারা বন্ধ করে দিবে এবং আরো কত কি!

এই প্রতারক চক্রের কাজ হলো যে কোন ব্যক্তির বিকাশ একাউন্টের তথ্য জেনে তার একাউন্ট হ্যাক করে টাকা পাচার করে নেয়া। যে কোন Challenge এর সম্মুখীন হলে কৌশল হিসাবে এরা যেকোন নম্বর Clone করে আপনাকে Call করবে তাদেরকে Trust করার জন্য।
যাই হোক, আজ হয়তো আমার কাছ থেকে বিশেষ সুবিধা করতে পারলো না কিন্তু এই প্রতারক চক্র সব সময় ওঁত পেতে আছে আমাদের চারপাশে সাধারণ নাগরিককে ধোঁকা দেবার জন্য। সবাইকে অনুরোধ নিজের কোন ব্যক্তিগত তথ্য কাউকে দেবার আগে নিশ্চিত হয়ে নিবেন।
আর মনে রাখবেন, বিকাশের কাস্টমার কেয়ার নম্বর শুধুমাত্র 16427 (+088016247 নয়) এবং Grameenphone Customer Care নম্বর শুধুমাত্র 121 (+088017111111111 নয়)।
(শুভরাজ)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Wednesday, February 6, 2019

নতুন কায়দায় প্রতারণা ও ছিনতাই, বাঁচতে হলে সতর্ক থাকুন!


ঘটনা-১:
আমাদের অফিসের একজন অফিসার প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা নিয়ে ব্যাংকে জমা দিতে যাচ্ছিল, টাকার খাম হাতেই ছিল। অফিস থেকে ব্যাংকের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। রাস্তায় একটা সিএনজি থেকে তাকে প্রশ্ন করা হয় সোনালী ব্যাংক কোথায়, সে উত্তর দেয়ার সময়েই ২জন লোক তার দুই পাশে এসে দাঁড়ায়, একজন তার ঘাড়ে হাত রাখে। তারপর অফিসারটি প্রায় চুপচাপ হয়ে যায়। ৫/৬ মিনিট পরে পাশাপাশি থাকা দুইটা সিএনজিতে করে অন্য দুইজন তার টাকার খাম নিয়ে চলে যায়, আর অফিসারটি প্রায় ঘন্টাখানেক পরে বুঝতে পারে তার টাকা অন্যরা নিয়ে গেছে। আমরা প্রথমে সন্দেহ করি ঘটনার সত্যতা নিয়ে, পরে পাশেই থাকা অন্য একটি ব্যাংকের সিসিটিভির ফুটেজে দেখি তার বর্ণণার সাথে ঘটনা প্রায় একই। অফিসারটি বলছে সে দেখতে পাচ্ছে তার কাছে থেকে টাকা নেয়া হচ্ছে বাট সে কি করবে তা নাকি বুঝে উঠতে পারছিল না, তাকে জোরও করা হয়নি, কিছু খাওয়ানোও হয়নি।

ঘটনা-২:
মহাখালীতে একজনের কাছে থেকে শোনা। একজন ভদ্রমহিলা বাজারে গিয়েছে, এমন সময় পাশ থেকে একজন দরিদ্র মহিলা তার কাছে সাহায্যের আবেদন জানায়, তারপর আরো ২/১ জন তাকে কিছু সাহায্য করতে উৎসাহিত করে। তখন সেই ভদ্র মহিলা ঐ অসহায় মহিলাটিকে তার হাতের স্বর্ণের চুড়ি, গলার চেইন, কানের দুল, মোবাইল দিয়ে চলে আসে। বাসায় আসার পরে তার মনে পরে সে তার সব গহনা ঐ মহিলাটিকে দিয়ে আসছে, কেন দিয়েছে তা মনে করতে পারেনা।

ঘটনা-৩:
গত ঈদের একদিন পর, আমি আসতেছি IUB এর সামনে দিয়ে সকাল ৮:৩০ টায়, যেহেতু ঈদের ছুটি সেহেতু রাস্তা একদম ফাঁকা। হঠাৎ একজন লোক প্রায় ৪০ এর মত বয়স, আমার কাছে এসে তার মোবাইলটা নাকের সামনে নিয়ে এসে বলতেছে, 'ওস্তাদ ২০ টাকা ফ্লেক্সি দিছি, আসছে কি একটু দেখেন'?
মাথাটা আমার কেমন যেন ঝিনঝিন করে উঠল, মুহুর্তেই তার কাছে থেকে সরে গিয়ে বললাম- আসছে। তারপরই প্রায় দৌড়ে তার কাছে থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তাকে তাকিয়ে দেখলাম, চুপচাপ হেটে যাচ্ছে, তাকে চ্যালেঞ্জ করতে চাইলাম কিন্তু আশেপাশে কোন লোক না দেখে সাহস পেলাম না। অস্ত্র ধরলে তার সাথে লড়াই করা যায়, কিন্তু তাদের কেমিকেলের সাথে লড়াই করব কীভাবে?

উপরে উল্লেখিত ৩টা ঘটনাই একদম রিসেন্ট। অনেক ধরণের আধুনিক কেমিকেল বের হয়েছে যা দিয়ে মানুষকে সাময়িক সময়ের জন্য সম্মেহন করে তার সবকিছু হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে। সুতরাং অপরিচিত/নির্জন স্থানে কারো সাথে কথা বলবেন না, কেউ কোন ধরণের হেল্প চাইলে আশেপাশে মানুষদের নিয়ে হেল্প করুন, একা একা বীরত্ব ফলাতে যাবেন না।
সচেতন হউন, দূর্ঘটনা থেকে দূরে থাকুন। 
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness

Tuesday, February 5, 2019

চিনে রাখুন রাজধানীর ভয়ংকর ১৩৫টি স্পট!


রাজধানী ঢাকা'র ৪৯টি থানার ৮টি ডিভিশনাল জোনে ১৩৫টি ছিনতাই স্পট চিহ্নিত করে কড়া নজরদারিতে রেখেছে পুলিশ। আর এর মধ্যেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ছিনতাইকারী চক্র। পাশাপাশি ছিনতাই কাজে বেড়ে গেছে আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারও।

জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে রামপুরা হাজিপাড়া পেট্রল পাম্পের সামনে দিয়ে রিকশাযোগে বাসায় ফিরছিলেন মানিক নামের একজন ব্যবসায়ী। রংসাইড দিয়েই আরেকটি রিকশা তার গতিরোধ করে কুশল বিনিময় করে দুই যুবক। বাসার সকলে এবং খালাম্মা কেমন আছে জানতে চায় তারা। এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই এক যুবক পিস্তল বের করে মানিকের কোমরে ঠেকিয়ে টাকা পয়সা যা আছে দিয়ে দিতে বলেন। নিজে টাকা বের করার আগেই ওই দুই যুবক মানিকের পকেট থেকে ৬৫ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। তার পকেটে দুটি দামি ব্যান্ডের মোবাইল থাকলেও তা নেয়নি ওই ছিরতাইকারিরা। শুধু এ ঘটনাই নয়, গত কয়েকদিনে উত্তরা, মিরপুর, শেওড়াপাড়া, যাত্রাবাড়ী, গেন্ডারিয়া ও পুরান ঢাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে। এসব ঘটনার শিকার বেশিরভাগই নারী।

জানা গেছে, ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে বেশিরভাগ ছিনতাইয়ের ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগীরা বাড়তি ঝামেলা এড়াতে থানায় মামলা বা জিডি না করে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েই বাড়ি ফিরে যান। এ কারণে ছিনতাইয়ের সঠিক পরিসংখ্যান থাকে না থানাগুলোতে। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে গড়ে প্রতি মাসে কমপক্ষে ২০টি ছিনতাইয়ের ঘটনার শিকার নারী ও পুরুষ চিকিৎসা নিচ্ছে। গতবছর শুধু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিনতাইয়ের শিকার ২৬২ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। রাজধানীর ৪৯টি থানায় যেসব জিডি করা হয় তার বেশিরভাগই থানার আশপাশের রাস্তায় মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের অভিযোগ।

ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম, উত্তরা পূর্ব থানা এলাকা, বাড্ডা, বনানী, খিলক্ষেত, ভাষানটেক, মিরপুর, পল্লবী, কাফরুল, দারুস সালাম, নিউমার্কেট, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও, মতিঝিল, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, গুলিস্তান, রামপুরা, হাজারিবাগসহ মহানগরীর থানা এলাকায় অন্তত প্রায় ১৩৫টি ছিনতাইয়ের স্পট রয়েছে। এসব স্পট চিহ্নিত করে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের ডিসি মোঃ মাসুদুর রহমান বলেছেন, ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যদের ধরলেও খুব সহজেই জামিন পেয়ে বেরিয়ে আবার পুরনো কাজে লেগে যায়। তবে ছিনতাই প্রতিরোধে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে। সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে বেশ কয়জন ছিনতাইকারি ধরাও পড়েছে। ঈদকে ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পাশাপাশি পোশাকে ও সাদা পোশাকেও মাঠে রয়েছে পুলিশের একাধিক টিম।

অপরাধপ্রবণ স্পটগুলো হলো, নিউ ইস্কাটন রোড, ইস্কাটন গার্ডেন রোড, দিলু রোড, কাকরাইল মোড়, মৎস্য ভবন এলাকা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোয়েল চত্বর ও কাঁটাবন। দিলকুশা বাণিজ্যিক এলাকা, বলাকা চত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ এলাকা, কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকা, ফকিরাপুল, রেলওয়ে হাসপাতাল রোড, পীরজঙ্গি মাজার, শান্তিনগর মোড়, নটর ডেম কলেজ গেট, ফকিরাপুল গরম পানির গলি, রাজারবাগ টেলিকম ভবনের সামনের রাস্তা, ইত্তেফাক মোড়, নয়াপল্টন ভাসানী গলি, পুরানা পল্টনের মল্লিক প্লাজার সামনে ও আরামবাগ।

উত্তরা: ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের কয়েকটি সড়ক, আবদুল্লাহপুর, হাউসবিল্ডিং, জসীমউদ্দীন রোড, বিমানবন্দর গোলচত্বর ও রেলস্টেশন এলাকা। খিলগাঁও-রামপুরা-বাড্ডা: গোড়ান, মালিবাগ, চৌধুরীপাড়া, খিলগাঁও ওভারব্রিজ, পল্লীমা সংসদ এলাকা, ভূঁইয়াপাড়া বালুর মাঠ, রামপুরা ব্রিজ, টিভি রোড, মেরুল বাড্ডা বাজার, উত্তর বাড্ডা থানা রোড, দক্ষিণ বাড্ডা, কুড়িল বিশ্বরোড, আফতাবনগর লোহার ব্রিজ, মধ্য বাড্ডা ব্যাপারী গলি, বাজার গলি, পূর্ব বাড্ডা কবরস্থান রোড ও লিঙ্ক রোড।

যাত্রাবাড়ী-কদমতলী-শ্যামপুর: বিবির বাগিচা, কুতুবখালী, উত্তর যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি, দয়াগঞ্জ মোড়, কাজলার পাড়, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, জনপদ সড়ক, ধলপুর সিটিপল্লি, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ীর কবরস্থান রোড, যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তের আশপাশে, মানিকনগর, মীর হাজীরবাগ ঘুণ্টিঘর, জুরাইন বালুর মাঠ, কুদার বাজার, মেডিকেল রোড, কদমতলী ওয়াসা রোড, নামা শ্যামপুর।

গুলশান-বনানী: গুলশান লেকপাড়, নিকেতন, শুটিং ক্লাবের সামনে, কাকলী মোড়, বনানী কাঁচাবাজার রোড, কড়াইল বস্তি, বনানী উড়াল সড়ক, সৈনিক ক্লাব ও চেয়ারম্যানবাড়ি এলাকা।

ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর: ধানমন্ডির আট নম্বর ব্রিজ, জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড, কলাবাগান খেলার মাঠ, সার্কুলার রোড (ভূতের গলি), মিরপুর সড়ক, মোহাম্মদপুরের আসাদ এভিনিউ, আওরঙ্গজেব রোড, কাঁটাসুর, বাঁশগাড়ি, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ, ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজ এলাকা, আদাবর ১৪ নম্বর সড়ক, বায়তুল আমান, রিং রোড ও হাজারীবাগ বেড়িবাঁধ।

মহাখালী-তেজগাঁও: মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, কাঁচাবাজারের সামনে, তিব্বত মোড়, উত্তর বেগুনবাড়ী, হাতিরঝিল, মগবাজার মোড়, মালিবাগ সুপার মার্কেটের সামনে, কারওয়ান বাজার, গ্রিনরোড, ইন্দিরা রোড সংলগ্ন টিঅ্যান্ডটি কার্যালয়ের পেছনের গলি।

মিরপুর: মিরপুর বেড়িবাঁধের শাহ আলী মোড় থেকে ধউর, মিরপুর-১ নম্বর গোলচত্বর, মিরপুর-১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ড, দক্ষিণ মণিপুর, বাউনিয়া বাঁধ, বিহারি কলোনি, আগারগাঁও মোড়, আইডিবি ভবনের সামনে, কল্যাণপুর হাউজিং এস্টেটের পাশের সড়ক, শেরেবাংলা নগরের বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের সড়ক, আগারগাঁও ক্রসিং, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, দারুস সালাম, মাজার রোড।

পুরান ঢাকা: চানখাঁরপুল, তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজার, নিমতলী, সদরঘাট, বাবুবাজার, কাজী রিয়াজ উদ্দিন রোড, ধোলাইখাল, শহীদনগর ও কামরাঙ্গীরচর।

ঢাকা, ১৩ জুন ২০১৭খ্রিঃ
(সংগৃহীত)

ভালো থাকুন | School of Awareness