বর্তমানে সেলফি একটি ভয়াবহ মানসিক সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। এই মানসিক সমস্যার নাম 'Narcissism'। টিনএজাররা তো বটেই তদূর্ধ্ব বয়সের মানুষদের মধোও অধিকহারে সেলফি উঠানোর মানসিক প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ঝুঁকিপূর্ণভাবে সেলফি উঠাতে গিয়ে মৃত্যুরও প্রায়ই পুনরাবৃত্তি ঘটছে। ট্রেনের ছাদে দাঁড়িয়ে, বিল্ডিং এর ছাদের রেলিংয়ে দাঁড়িয়ে, চিড়িয়াখানায় বাঘ-সিংহের খাঁচার সঙ্গে হেলান দিয়ে কিংবা আরও বিভিন্ন অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে দাঁড়িয়ে সেলফি উঠানোর এক রোমাঞ্চকর মানসিকতা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে দিন দিন বেড়ে চলেছে এবং এতে করে অপমৃত্যুরও পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। গত তিন বছরে এরূপ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ সেলফিজনিত মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে যা বিভিন্ন মাধ্যমে বারবার আমাদের নাড়া দিচ্ছে।
এমনকি আমি একটা ফটোতে দেখেছি একজন ফণা তুলেছে এমন অবস্থায় এক গোখরা শাপের সঙ্গে সেলফি উঠিয়েছে। এটি হয়তো 'সেলফি অব দ্যা ইয়ার' পুরস্কার পাওয়ার উপযুক্ত একটি সেলফি হতে পারে, কিন্তু তার দুর্ভাগ্য যে এরকম কোনো পুরস্কার পৃথিবীতে প্রচলিত নেই।
আমি তরুণ প্রজন্মকে পরামর্শ দিচ্ছি, এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে সেলফি উঠানো থেকে বিরত থাকুন; কারণ, একটি সেলফি দিয়ে আপনি তো আর 'সেলফি অব দ্যা ইয়ার' পাবেন না। শুধু ফেসবুকের কয়েকটা লাইক এবং কমেন্টের জন্য লাইফের এত বড় রিস্ক কেন নেবেন?
কয়েকটা লাইক, কমেন্ট দিয়ে তো আপনি সকালের নাস্তাও করতে পারবেন না, কিংবা এটা দিয়ে কোনো সমাজসেবাও হবে না। তাহলে কেন নিজের জীবনটাকে একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে কিছুক্ষণের জন্য নিয়ে যাচ্ছেন; হয়তো এই কিচ্ছুক্ষণই আপনার জীবনের জন্য শেষ ক্ষণও হতে পারে।
সতর্ক হোন। অনেক সুন্দরভাবে পৃথিবীতে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকুন; সম্ভাবনাময় হোক আপনার জীবন। কোনো সম্ভাবনা পৃথিবী থেকে হারিয়ে না যাক। সুন্দর হোক এই ভুবন।
(যেহেতু এটি আমার সেবামূলক লেখা তাই কপি-পেস্ট যা খুশি তা করে ছড়িয়ে দিতে পারেন; আইনগত বাঁধা দিবো না)
ভালো থাকুন | School of Awareness
No comments:
Post a Comment