ক্ষুদ্র ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে তারিখবিহীন ও খালি চেক (ব্ল্যাঙ্ক) চেক নিতে পারবে না ব্যাংকগুলো। চুক্তির ভিত্তিতে তারিখ ও টাকার অঙ্ক উল্লেখ করে চেক গ্রহণ করতে হবে। আজ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই সার্কুলারে বলা হয়েছে, কনজুমার ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্স এবং স্মল এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্স অনুসারে ঋণের ফেরতের গ্যারান্টি স্বরুপ ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে চেক জমা রাখে ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতে ঋণের বিপরীতে অগ্রিম তারিখযুক্ত বা তারিখবিহীন চেককে জামানত হিসেবে গ্রহণের ফলে আইনী জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন স্মল এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্সের সংশ্লিষ্ট ৬ নং ধারায় বর্ণিত প্রত্যেকে কিস্তির জন্য পোস্ট তারিখসহ একটি করে চেক এবং সুদসহ ঋণের সমপরিমান অর্থের জন্য তারিখবিহীন আরেকটি চেক গ্রহণের বিধান বাতিল করা হলো।
এখন ঋণ ফেরতের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে, প্রতিটি কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ একাউন্ট কেটে নেওয়ার অনুমতিপত্র গ্রাহকের কাছ থেকে গ্রহণ করতে হবে। পোস্ট তারিখযুক্ত চেক জমা নেওয়ার সময় অবশ্য গ্রাহকের সঙ্গে লিখিত চুক্তিপত্র করে নিতে হবে। ঋণ পরিশোধ সূচি অনুসারে প্রতিটি কিস্তির জন্য নির্ধারিত তারিখ ও কিস্তির সমপরিমান অর্থ মোতাবেক বৈধ স্বাক্ষর, তারিখসহ পূর্ণাঙ্গ চেক গ্রহণ করতে হবে।
নতুন এই নিয়ম গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের ঋণচুক্তিতে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই সার্কুলারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানের নিয়মে ব্যাংকগুলো স্বাক্ষর সম্বলিত সম্পূর্ণ ব্ল্যাঙ্ক চেক গ্রাহকের কাছ থেকে গ্রহণ করে। পরে গ্রাহক ঋণ ফেরত দিতে ব্যর্থ হলেও ব্যাংক ওই চেকে তারিখ ও টাকার অঙ্ক বসিয়ে গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। আদালতে গিয়ে গ্রাহক দাবি করেন ব্যাংক জোরপূর্বক তার কাছ থেকে চেক নিয়ে ইচ্ছামত টাকার অঙ্ক ও তারিখ বসিয়ে নেন। এতে আইনী জটিলতা সৃষ্টি হয়। কোন চুক্তিপত্র না থাকায় ব্যাংকও এই অভিযোগের যুক্তি খন্ডাতে পারে না। এছাড়া গ্রাহকের উপর রুষ্ট হয়ে ব্ল্যাঙ্ক চেক অপব্যবহার গ্রাহকের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণ করার সুযোগ রয়েছে ব্যাংকগুলোর। এসব আইনি জটিলতা কাটিয়ে উঠতে লিখিত চুক্তি ও পূর্ণাঙ্গ চেক গ্রহনের নীতি প্রনয়ন করা হলো।
(সংগৃহীত)
ভালো থাকুন | School of Awareness
No comments:
Post a Comment